সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাইথোলজিতে এমন বহু অসম্ভব ঘটনার কথা উল্লেখ থাকে, যা শুনতে শুনতে মনে হয়, এও সত্যি! এমনটাও হতে পারে? সাধারণভাবে যুক্তি দিয়ে হয়তো অনেক কিছুরই ব্যাখ্যা মেলে না। তবে অনেকেই অনেক কিছু পারেন, যা যুক্তির ধার ধারে না। অসম্ভব ক্ষমতার বলেই অসাধ্য সাধন করেন তাঁরা। যেমন দীনেশ উপাধ্যায়। মুম্বইয়ের এই স্কুল শিক্ষক মুখে ধরলেন ২২টি জ্বলন্ত মোমবাতি। নাম লেখালেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে।
[ ভারতীয় বায়ুসেনাকে অত্যাধুনিক ড্রোন বিক্রিতে রাজি আমেরিকা ]
নেটদুনিয়ায় তাঁর সম্পর্কে যা তথ্য মিলছে, তাতে জানা যাচ্ছে, তিনি স্কুল শিক্ষক। তবে সেটা পেশা। সেই পরিচয়েই নিজেকে আবদ্ধ রাখেননি। বরং নেশা বা প্যাশনে ছাপিয়ে গিয়েছেন নিজের পেশায় পরিচয়। একাধিকবার গিনেস ও লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলেছেন তিনি। এক মিনিটে ৭৩টি আঙুর খেয়ে রেকর্ড গড়েছেন। আবার এক হাতে ১০টি বিলিয়ার্ড বল একসঙ্গে ধরে বিশ্বকে বিস্মিত করেছিলেন। এরকম বহু অসাধ্যই সাধন করেছেন। সাম্প্রতিকতমটি হল এই জ্বলন্ত মোমবাতি মুখে ধরা। দিওয়ালির মরশুমে আলোর মালায় সেজেছে গোটা দেশ। আর তিনি বিশ্বের দরবারে নিজের ও দেশের নাম আলোকিত করলেন। জ্বলন্ত ২২টি মোমবাতি মুখের মধ্যে ধরে থাকলেন বেশ কিছুক্ষণ। সেই ভিডিও পোস্ট করে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, এই কারণেই দীনেশকে ‘ম্যাক্সিমাউথ’ বলা হয়। কোনও বন্ধুর জন্মদিন থাকলে নেটিজেনদের এই ভিডিও উপহার দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে।
তবে এ জিনিস যে বিপজ্জনক তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দীনেশ যা পারেন তা বাকিদের পক্ষে অসম্ভব। ঠিক যেমন পুরাণের প্রায় অসম্ভব ঘটনাগুলির পুনরাবৃত্তির চেষ্টা করা বৃথা। আজ আর কে আক্ষরিক অর্থে বিষ কণ্ঠে ধারণ করে নীলকণ্ঠ হওয়ার সাধ্য রাখেন! সুতরাং দীনেশের কাজও করতে যাওয়া অযথা ঝুঁকি নেওয়ারই শামিল। বাকিটা ব্যক্তিগত।
[ কুকুর ঘেউ ঘেউ করবেই, শ্রীনগরের কনসার্টে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বার্তা লাকি আলির ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.