ছবি: সংগৃহীত।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় যে মাটিতে উদ্বোধন হবে রামমন্দির, কয়েক শতক ধরে সেখানেই ছিল বাবরি মসজিদ। দিনটিকে ‘বহু লড়াই ও তপস্যা’র ফল বললেন মুসলিম করসেবক মহম্মদ হাবিব। ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে সেই ঐতিহাসিক দিনগুলিতে করসেবা করেছেন, দাবি হাবিবের। রামমন্দির উদ্বোধনে ট্রাস্টের আমন্ত্রণও পেয়ে আপ্লুত তিনি।
৭০ বছর বয়সি হাবিব জানান, ‘অক্ষত’ (রামমন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্র) হাতে পেয়ে আবেগ বিহ্বল হন তিনি। বিজেপির জেলাস্তরের নেতার আরও বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশ মেনে ২২ জানুয়ারি যাচ্ছেন না অযোধ্যায়। উদ্বোধনের পর যে কোনও দিন যাবেন। হাবিব দাবি করেছেন, যৌবনে ১৯৯২ সালে দুই ডিসেম্বর থেকে ৪-৫ দিনের জন্য অযোধ্যায় ছিলেন। ঐতিহাসিক কাণ্ড ঘটে ৬ ডিসেম্বরে। ওই দিন বাবরি মসজিদ ভাঙা হয়। দেশজুড়ে শুরু হয় দাঙ্গা।
বহু ঘাত-প্রতিঘাত এবং আইনি লড়াইয়ের পর ২০১৯ সালে ৯ নভেম্বর বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির নির্মাণের রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই মন্দির উদ্বোধন হচ্ছে আগামী ২২ জানুয়ারি। উদ্বোধক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বিষয়ে হাবিবের মন্তব্য, “সকলের কাছেই এটা ঐতিহাসিক দিন। অনেক তপস্যা ও লড়াইয়ের পর এমন দিন পেয়েছি।” আরও বলেন, “আমি বিজেপির একজন পুরনো সদস্য। প্রায় ৩২ বছর পর ফল পেয়েছি। পুরনো স্মৃতি পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। দলের লোকদের সঙ্গে ২ ডিসেম্বর, ১৯৯২ থেকে ৪-৫ দিন অযোধ্যায় ছিলাম।”
পাশাপাশি ভগবান রামকে পূর্বজ বলেন হাবিব। গতকাল একই কথা বলেছেন বারাণসীর দুই মুসলিম তরুণী নাজমা ও নাজনিন। যাঁরা অযোধ্যার (Aydhdya) পবিত্র ‘রামজ্যোতি’ কাশী ধামে পৌঁছনোর দায়িত্ব পেয়েছেন। নাজনিনের বলেছেন, “অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠা হওয়ায় আমরা খু্শি। রাম আমাদের পূর্বজ, মুসলিমদের কাছে যেমন মক্কা। হিন্দুদের জন্য এবং যাঁরা ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করেন, তাঁদের জন্য অযোধ্যা হল তেমনই এক পুণ্যভূমি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.