ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বান্ধবীকে জোর করে ধর্মান্তরণ করতে চেয়েছিল যুবক। রাজি না হওয়ায় গর্ভপাতের ওষুধ খাইয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে ওই মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ার জেরেই মৃত্যু হয়েছে গর্ভবতী ওই যুবতীর। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, পরিচয় গোপন করে সম্পর্কে জড়িয়েছিল মুসলিম যুবক। লিভ-ইন শুরুর পরে তার আসল পরিচয় প্রকাশ্যে আসে।
ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) ওই মুসলিম যুবকের নাম দানিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, পরিচয় গোপন করে এক হিন্দু যুবতীর সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতায় সে। সম্পর্ক গভীর হলে লিভ-ইনের সিদ্ধান্ত নেয় দু’জনে। গর্ভবতীও হয়ে পড়ে ওই যুবতী। তবে যুবতীর দাদার অভিযোগ, লিভ ইন শুরুর পর থেকেই দানিশ ধর্ম পরিবর্তনের জন্য তাঁর বোনকে চাপ দিত।
কিন্তু নিজের ধর্ম পরিবর্তন করতে রাজি ছিলেন না ওই যুবতী। সেই কারণে দিনের পর দিন লিভ-ইন সঙ্গীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছেন দানিশ, এমনটাই অভিযোগ মৃতার দাদার। সঙ্গী গর্ভবতী, এই কথা জানতে পেরেই জোর করে প্রচুর পরিমাণে গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়ানোরও অভিযোগ উঠেছে দানিশের বিরুদ্ধে। একসঙ্গে অনেক ওষুধ খাওয়ার জেরে ওই যুবতীর গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু হয়। তারপরেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন যুবতী। চিকিৎসা চলাকালীনই তাঁর মৃত্যু হয়।
বোনের মৃত্যুর পরেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন মৃত যুবতীর দাদা। হাই কোর্টের বিচারপতির অধীনে সিট গঠন করে এই ঘটনার তদন্ত হোক, এমনটাই দাবি তাঁদের। গোটা ঘটনায় সরব হয়েছে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বও। ১ কোটি টাকা সাহায্য দেওয়া হোক মৃতার পরিবারকে, দাবি ছত্তিশগড় বিজেপির সেক্রেটারি ওপি চৌধুরির। গোটা ঘটনার বিস্তারিত তদন্তও দাবি করেছে গেরুয়া শিবির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.