সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোকলাম সংক্রান্ত জটিলতা খানিকটা কেটেছে ব্রিকস সম্মেলনে। পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদীদের স্বর্গরাজ্য বলে বিবৃতি দিয়েছে ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলো। সম্মতি জানিয়েছে চিনও। ফলে আপাতত আন্তর্জাতিক স্তরে পাকিস্তান-চিন রাজনৈতিক সমীকরণ একটু হলেও ধাক্কা খেয়েছে বলে মত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের। তবে চিনের এই রাজনৈতিক অবস্থানে মোটেও সন্তুষ্ট হতে রাজি নন ভারতের সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত।
[চিনকে ‘ঠান্ডা’ করতে জাপানের সঙ্গে ব্যাপক সামরিক সমঝোতা ভারতের]
বুধবার ল্যান্ড ওয়ারফেয়ার স্টাডিসের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সেমিনারে নিজের বক্তব্যে এক জটিল পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিয়েছেন সেনাপ্রধান। পরিষ্কার জানিয়েছেন, উত্তরে চিন আর পশ্চিমে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধের সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাঁর পর্যবেক্ষণ, চিন ইতিমধ্যেই যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ভারত-চিন সীমান্তে একটু একটু করে বাড়ছে চিনা আগ্রাসন। আর সেটাই আশঙ্কার। সবচেয়ে বড় কথা, চিন এখন ভারতের ধৈর্য্য পরীক্ষা করছে। যে পরিস্থিতি ক্রমশ তৈরি হচ্ছে তার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে বলে সতর্ক করেছেন রাওয়াত।
[কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন বেড়ে ২১ হাজার টাকা]
চিনের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে পাকিস্তান যে তার পুরোপুরি ফায়দা নেবে, সে বিষয়ে একমত কূটনীতিবিদরা। তবে উলটোদিকে, পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াইয়ের সুযোগ নিয়েও চিন অগ্রসর হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। একই সুর রাওয়াতের গলাতেও। চিনের পেশি আস্ফালন ভারত সহ্য করবে না বলে বার্তা দিয়েছেন তিনি। দ্বিমুখী লড়াইয়ের জন্যও ভারত প্রস্তুত বলেও স্পষ্ট জানিয়েছেন সেনাপ্রধান।
ভারতীয় সেনাপ্রধান যে দুই দেশের সঙ্গে যুদ্ধের ইঙ্গিত এই প্রথম দিচ্ছেন এমনটা নয়, তবে ডোকলাম সংঘাত ‘শেষ’ হওয়ার পরেই তাঁর এই মন্তব্য যথেষ্ট আশঙ্কার। উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই মোদি আর জিনপিং মুখোমুখি হন। জিয়ামেন সম্মেলনে কথা হয় সীমান্ত সন্ত্রাস নিয়ে।
[রাজকীয় ডেরায় তাজমহল, আইফেল টাওয়ারও বানিয়েছিল রাম রহিম]
তবে আশঙ্কার মেঘ কাটেনি। ফের একবার নতুন করে সেনা জওয়ানদের সতর্ক করেছেন সেনাপ্রধান। কারণ তাঁর মত, হয়তো এই সমস্যা আপাতত মিটে যাবে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে এমন ঘটনা ভবিষ্যতে আর ঘটবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.