সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “আমার মেয়েকে জোর করে ইসলাম ধর্মে রূপান্তরিত করা হয়েছে৷” এমনই অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হলেন তিরুবনন্তপুরমের মিনি বিজয়ন৷ তাঁর অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরে মেয়ে অপর্ণাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷ অপর্ণাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়৷
সম্প্রতি এক হিন্দু যুবতীকে ধর্মান্তকরণের খবর সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিল৷ ধর্মান্তকরণের পর যুবতীর নাম পাল্টে হয় নিমিশা আলিয়াস ফাতিমা৷ সেই ঘটনার পর থেকে নিমিশার পাশাপাশি খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না আরও ২০ জন যুবতীর৷ অপর্নাও তাঁদের মধ্যে অন্যতম৷ মিনি বিজয়ন জানান, এর্নাকুলামের জুয়াল এডুকেশন ট্রাস্ট এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী ছিলেন অপর্ণা৷ ধর্মান্তরের পর তাঁর নাম পাল্টে হয় সাহানা৷ পড়াশোনার জন্য হোস্টেলেই থাকতেন অপর্ণা৷ মেয়ের ধর্মান্তকরণের খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিজয়ন৷ অপর্ণা ওরফে সাহানাকে আদালতে পেশ করা হলে তিনি জানান, তিনি আর মায়ের কাছে ফিরতে চান না৷ বরং বর্তমানে তিনি যেখানে থাকেন, সেখানেই থাকতে চান৷
পুলিশ সূত্রে খবর, মালাপ্পুরামের মঞ্জেরিতে সত্য সরণি নামে একটি সেন্টারে থাকেন সাহানা৷ যেখানে অন্য ধর্মের মানুষকে ইসলামে রূপান্তরিত করা হয়৷ বিজয়ন জানান, ধর্মান্তরের পরও বেশ কিছু দিন তাঁর সঙ্গে অপর্ণা যোগাযোগ রাখতেন৷ কিন্তু নিমিশার খবর প্রকাশ্যে আসতেই সবরকম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি৷ প্রশ্ন উঠছে, তবে কি চাপে পড়েই বাড়ি ফিরতে পারছেন না এই যুবতীরা? জোর করে ধর্মান্তরিত করার বিরুদ্ধে কি আদৌ কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.