সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চোখের সামনে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল পাঁচতলা বাড়িটা! কিন্তু আগে থেকে সতর্ক থাকার কারণে একটুর জন্য রক্ষা পেলেন বাড়ির বাসিন্দারা। ঘূর্ণিঝড় তওকতের (Cyclone Tauktae) দাপটের কারণেই আহমেদাবাদের (Ahmedabad) জামালপুর এলাকার ওই বহুতলটি ভেঙে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। চোখের সামনে অত বড় বাড়িটিকে ভেঙে পড়তে দেখে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ভিডিও দেখে শিউরে উঠেছে নেটিজেনরাও।
গত সোমবারই সোমবার রাতেই গত কয়েক দশকের মধ্যে সব থেকে বড় সাইক্লোন তওকতে গুজরাট (Gujarat) উপকূলে ঘণ্টায় প্রায় ১৫০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ে। গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক প্রভৃতি রাজ্য ঝড়ের দাপটের কবলে পড়েছে। প্রচণ্ড ঝড়ের ফলে বহু বাড়িই ভেঙে পড়ার খবর মিলেছে। উপড়ে গিয়েছে বহু গাছ। জামালপুরের বাড়িটিও মঙ্গলবারই ঝোড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে দুলতে শুরু করে। পরিস্থিতি প্রতিকূল বুঝে রাতেই তড়িঘড়ি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা। কিন্তু বাড়িটি দুলতেই থাকে। এরপরই সকলের চোখের সামনেই ভেঙে পড়ে সেটি। যেহেতু আগেই সকলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন, তাই কোনও রকম প্রাণহানি কিংবা চোটআঘাত পাওয়ার ঘটনা ঘটেনি।
ঘূর্ণিঝড়ে কার্যত বিধ্বস্ত গুজরাটের উপকূলবর্তী এলাকা। ৬৯ হাজারেরও বেশি লাইটপোস্ট ও গাছ উপড়ে পড়ে গিয়েছে। অবরুদ্ধ ৬৭৪টি রাস্তা। ৫ হাজারের উপর গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। অসংখ্য গবাদি পশুরও মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবারই গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি সকলকে আশ্বস্ত করে বলেন, সরকার দ্রুত পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। উপকূল এলাকা থেকে প্রায় ২ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সঙ্গে করোনা রোগীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য সরকার বিদ্যুতের ব্যবস্থা চালু রাখা-সহ সব রকম ব্যবস্থা করা হয়। মোতায়েন করা হয় কয়েক শো অ্যাম্বুল্যান্স।
এদিকে বুধবারই রাজ্যের পরিস্থিতি আকাশপথে খতিয়ে দেখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি ঘোষণা করেছেন, রাজ্যে ঝড়ের প্রকোপে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আহতদের ক্ষেত্রে মিলবে ৫০ হাজার টাকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.