সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার পর বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে আবেগঘন হয়ে পড়েছিলেন ওমর আবদুল্লা। ভারী গলায় আক্ষেপের সুরে বলেছিলেন, “এবার কোন মুখে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা চাইব।” সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, পহেলগাঁও হামলাকে হাতিয়ার করে তিনি কখনই কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা চাইবেন না। মাস ঘুরতেই সেই অবস্থান থেকে সরে এলেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী। এবার বলে দিলেন, উপত্যকার পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর ব্যাপারে তাঁর দল বদ্ধপরিকর। কাশ্মীরে স্থায়ী শান্তি ফেরানোর এটাই সুবর্ণ সুযোগ।
বুধবার পহেলগাঁও হামলার মাস পূর্তির ঠিক আগে দলের কর্মসমিতির বৈঠকে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব পাশ করিয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স। যার মধ্যে অন্যতম, পহেলগাঁও হামলার নিন্দা। ওমর আবদুল্লার দল বলছে, পহেলগাঁও হামলার পর যেভাবে গোটা কাশ্মীর একত্রিত হয়ে শোকপ্রকাশ করেছে এবং এই হামলার প্রতিবাদ করছে, সেটা অভূতপূর্ব। কেন্দ্রের কাছে এটা সুবর্ণ সুযোগ, এখনই কাশ্মীরে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য পদক্ষেপ করা হোক। কাশ্মীরের ইতিহাসে এই ধরনের সন্ধিক্ষণ অতীতে আসেনি।
পহেলগাঁও হামলার নিন্দার পাশাপাশি ওই হামলার পর গোটা দেশে কাশ্মীরীদের উপর অত্যাচারের যে অভিযোগ উঠছে, সেটারও তীব্র প্রতিবাদ করছে ন্যাশনাল কনফারেন্স। ওই ধরনের ঘটনা গভীরভাবে উদ্বেগজনক। আবদুল্লাদের দলের প্রস্তাবে বলা হচ্ছে, “ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে শান্তিপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, সেটা আগামী দিনে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পাকিস্তানের সঙ্গে স্থায়ী শান্তিবার্তা শুরু করারও এটা সুবর্ণ সুযোগ।”
তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়েই কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবি জোরালো করছে উপত্যকার শাসকদল। ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ভারত সরকার সংসদে দাঁড়িয়ে কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেই প্রতিশ্রুতি যাতে কেন্দ্র পূরণ করে, সেটার জন্য আন্দোলন চলবে। শুধু তাই নয়, উপত্যকার বিশেষ মর্যাদা ফেরানোর ব্যাপারেও যে ন্যাশনাল কনফারেন্স বদ্ধপরিকর, তাও প্রস্তাব আকারে পেশ করা হয়েছে দলের অন্দরে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.