ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার ধাক্কায় জেরবার কংগ্রেস। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় নাম জড়ালেও এতদিন সোনিয়া-রাহুলের নামে চার্জশিট জমা পড়েনি। এই প্রথমবার তাঁদের নাম উঠেছে ইডির চার্জশিটে। এহেন পরিস্থিতিতে বিজেপি নতুন করে আক্রমণ করেছে হাত শিবিরকে। অন্যদিকে কংগ্রেসও গোটা বিষয়টিকে মোদি সরকারের ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ বলে পালটা দিয়েছে। সব মিলিয়ে নতুন করে হাত ও পদ্ম শিবিরের মধ্যে তীব্র সংঘাত দেখা দিয়েছে এই মামলার চার্জশিটকে কেন্দ্র করে।
বুধবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি নেতা রবিশংকর প্রসাদ দাবি করেন, ওই সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে ‘কর্পোরেট দুর্নীতি’ করেছে কংগ্রেস। ২০০৮ সালে বন্ধ হয় ন্যাশনাল হেরাল্ডের প্রকাশ। সেই সময় ওই সংবাদপত্রের প্রকাশক ‘অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড’-কে ৯০ কোটি টাকা দিয়েছিল কংগ্রেস। এই প্রসঙ্গ তুলে রবিশংকরের অভিযোগ, কোনও রাজনৈতিক দল কখনও বেসরকারি সংস্থাকে অনুদান দিতে পারে না। এদিকে এজিএল পরে জানিয়ে দেয়, তারা ওই ঋণ শোধ করতে অপারগ। পরে ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেড নামের কাছে সংস্থার ৩৮ শতাংশ শেয়ার চলে যায়। যে সংস্থায় ছিলেন সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী। এর ফলে তাঁরা বিভিন্ন শহরে থাকা ওই সংস্থার সম্পত্তির মালিকানা পান। রবিশংকর বলছেন, ”ওয়াইআইএল অলাভজনক সংস্থা। যদিও জানা নেই কোনও দাতব্য কাজ তারা করেছে! এজিএলকে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। এবং ওদের ঋণ মকুব করে দেওয়া হয়।” একে খোঁচা মেরে ‘গান্ধীদের উন্নয়নের মডেল’ বলে খোঁচা দেন তিনি।
এদিকে পালটা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট। তিনি বলেন, ”আমরা বিচারব্যবস্থায় বিশ্বাস করি। আমরা আইনের পথে ন্যায়ের জন্য লড়াই করব। সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে টার্গেট করা হচ্ছে বিরোধীদের কণ্ঠস্বর রোধ করার জন্য। মোদি সরকারের কাছে কোনও প্রমাণ নেই। ওরা কেবল বিরোধীদের কালিমালিপ্ত করতে চায়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.