ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট মিটতেই ছত্তিশগড়ে ফের মাও দমন অভিযানে নেমে পড়লেন নিরাপত্তারক্ষীরা। পুলিশের অভিযানে নিকেশ হল রাঘব বোয়াল। পুলিশ ও মাওবাদীদের গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল শীর্ষ মহিলা মাও কম্যান্ডার জ্যোতি মুরিয়ামির। জ্যোতি সুকমা এলাকায় দাপুটে মাও নেত্রী ছিল। পুলিশের ওয়ান্টেড তালিকায় সে ছিল সবার উপরের সারিতে। জ্যোতির মাথার দাম ছিল ৮ লক্ষ টাকা।
বুধবার সন্ধ্যায় সুকমার চিতলনগর এবং দোন্ডিপাদর গ্রামের জঙ্গলে যৌথ অভিযান চালায় ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড এবং পুষ্পাল থানার পুলিশ। এই এলাকাটি রাজধানী রাইপুর থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। যৌথ বাহিনী এলাকায় পৌঁছাতেই তাদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছোঁড়া শুরু করে মাওবাদীরা। পালটা দেন যৌথ বাহিনীর কর্মীরাও। দুপক্ষের সংঘর্ষেই মাও নেত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে সেনার তরফে জানানো হয়েছে। পিপলস লিবারেশন গেরিলার সুপ্রিম কম্যান্ডার ছিল জ্যোতি। ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের ডিআইজি জানাচ্ছেন, ওড়িশা ও ছত্তিশগড় সীমান্তের কঙ্গর উপত্যকায় দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ছিল ওই নেত্রী। এর আগে একাধিক হামলা তাঁর নেতৃত্বেই ঘটিয়েছে মাওবাদীরা।
ভোটের আগে আগেই ৬২ জন মাও নেতা আত্মসমর্পণ করেছে ছত্তিশগড়ে। সেনা অভিযানে মৃত্যুও হয়েছে বেশ কয়েকজন কম্যান্ডারের। এরপর জ্যোতির মৃত্যু উগ্রপন্থী সংগঠনটিকে আরও বড় ধাক্কা দিল বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি অপেক্ষাকৃত নরমপন্থী মাও নেতা গণপতির পরিবর্তে দলের সাধারণ সম্পাদক পদে এসেছেন আগ্রাসী মানসিকতার নেতা বাশ্বরাজ। বেশ কিছুদিন ধরেই দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা, এবং শক্তিহ্রাস নিয়ে চাপে ছিলেন গণপতি। সংগঠনে প্রভাব বাড়ছিল সেকেন্ড ইন কম্যান্ড বাশ্বরাজের। এই পরিস্থিতিতে নিজেই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন গণপতি। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন আগ্রাসী নেতা কেশব রাও ওরফে বাশ্বরাজ। মাও নেতৃত্বে এই রদবদলের কথা উঠে এসেছে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের তদন্তে। উল্লেখ্য, পুলিশের খাতায় দুই নেতাই মোস্ট ওয়ান্টেড। গণপতির সন্ধান দিলে ১৫ লক্ষ এহং বাশ্বরাজের জন্য ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.