সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নোট চেনার ক্ষমতা নেই প্রায়। অথচ ব্যাঙ্কে জমা দিতে গিয়েছেন প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা। জন ধন যোজনার অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করতে আসা বৃদ্ধাকে দেখেই সন্দেহ হয় অফিসারদের। চাওয়া হয় প্যান কার্ড। কিন্তু প্রত্যাশিতভাবেই মহিলার কাছে কোনও প্যান কার্ড নেই। ফিরে যান তিনি।
কী করে এরকম এক মহিলা সাড়ে চার লক্ষ টাকা জমা দিতে এলেন? খোঁজ নিতে গিয়ে কেঁচো খুঁড়তে বেরোয় কেউটে। জানা যায়, এই টাকা ওই বৃ্দ্ধার নয়। আরও জানা যায়, ঝাড়খণ্ডের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে নকশালরাই বয়স্ক ও গ্রামবাসীদের উপর জোর করছে কালো টাকা সাদা করানোর ক্ষেত্রে।
পণবন্দি করে রেখে বা লুঠ করেই সাধারণত টাকা আদায় করে চরমপন্থীরা। কিন্তু সে টাকার লেনদেন মোটেও বৈধ নয়। সরকারেরই নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে তাই ঘোর বিপাকে পড়েছে আন্দোলনকারীরা। এই অবস্থায় গ্রামবাসীরাই তাদের ভরসা। নরমে-গরমে কাজ হাসিল করছে নকশালরা। কখনও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। নিরীহ গ্রামবাসীদের ভয় দেখিয়ে কালো টাকা সাদা করতে ব্যাঙ্কে পাঠানো হচ্ছে। কোথাও আবার গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে ব্যাঙ্কে পাঠানো হচ্ছে। লাটাহারের পুলিশ সুপার অনুপ বার্থারি জানান, পুলিশের কাছেও এই তথ্য এসেছে। বিহার থেকেও নকশালরা সক্রিয় হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ঝাড়খণ্ডে এসে তারা মানুষকে বোঝাতে মিটিং করেছে বলেও খবর পুলিশের কাছে। স্থানীয় কিছু মানুষও এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা যাচ্ছে। মূলত এই মুষ্টিমেয় কয়েকজনের উপর ভরসা করেই গ্রামবাসীদের হাতিয়ার করে কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা করছে নকশালরা।
সম্প্রতি মাওবাদী এক সংগঠনের থেকে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে সিআরপিএফ। গোয়েন্দাদের অনুমান, এই টাকা নকশালদের কাজেই লাগানো হচ্ছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.