সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এদেশের প্রাচীন ইতিহাস নিয়ে চিরাচরিত ধারণার বদল ঘটাল ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং(NCERT)। দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস বইয়ে আর্যদের ভারতে আগমনের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে নয়া পাঠ্যক্রমে। পাশাপাশি এও বলা হয়েছে হরপ্পা সভ্যতা (Harappan civilisation) হল ভারতের দেশজ সভ্যতা। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই নয়া সিলেবাস চালু হবে।
কী বলা হয়েছে নতুন অনুচ্ছেদে? সেখানে জানানো হয়েছে, হরপ্পাবাসীর জিনের শিকড় খ্রিস্টপূর্ব ১০ হাজার বছর পর্যন্ত বিস্তৃত। সেই ডিএনএ আজও টিকে আছে এবং দক্ষিণ এশীয় জনসংখ্যার অধিকাংশই তাদের বংশধর বলে মনে হয়। ইতিহাসের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ইতিহাসের নিরবচ্ছিন্ন ধারাবাহিকতাও আর্যদের ভারতে আগমনের বিষয়টিকে বাতিল করে। হরপ্পাবাসীরা ইরান ও মধ্য এশিয়ার দিকে অগ্রসর হতে শুরু করলে, তাদের জিনগুলিও ধীরে ধীরে সেসব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।
কিন্তু কোন যুক্তিতে অস্বীকার করা হচ্ছে আর্যদের ভারতে প্রবেশের বিষয়টি? এই পরিবর্তনের পিছনে রয়েছে হরিয়ানায় সিন্ধু উপত্যকার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান রাখিগড়িতে প্রাপ্ত প্রাচীন ডিএনএ সংক্রান্ত একটি গবেষণা। এই গবেষণায় আর্যদের অনুপ্রবেশের বিষয়টি একেবারেই ক্ষীণ বলে জানানো হয়েছে। তাছাড়া হরপ্পা ও বৈদিক যুগের মানুষ কি সমসাময়িক নাকি একই, তা নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে বলেই মনে করা হয়েছে ওই গবেষণাপত্রে।
তবে শুধু যে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যসূচির পরিবর্তন করা হয়েছে তা নয়। এনসিইআরটি সপ্তম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শ্রেণিরই ইতিহাস ও সমাজবিজ্ঞানের বইতেও পরিবর্তন করেছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করা হয়েছে দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস পাঠ্যক্রমেই। ‘সিন্ধু সভ্যতার উৎস ও পতন’ অধ্যায়ে এই বদল করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.