সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জয়পুরের পর দিল্লি। এবার পাচারকারীদের শিকার এক নেপালি যুবতী। ফেসবুকের এক বন্ধুকে বিশ্বাস করেই চরম ঠকতে হল তাঁকে। এক ঝটকায় বদলে গেল তাঁর আশেপাশের দুনিয়া।
বেশ্যাবৃত্তিতে মহিলাদের টেনে আনার জন্য এখন সোশ্যাল মিডিয়াকেই হাতিয়ার করছে পাচারকারীরা। সেভাবেই ২৩ বছরের যুবতীকে নিজেদের জালে ফাঁসায় তারা। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ছ’মাস আগে ফেসবুকে বান্টি রাজপুত নামের এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই যুবতীর। নেপালের লুম্বিনির যুবতীর সঙ্গে ভালই সম্পর্ক গড়ে ওঠে বান্টির। যুবতীকে দিল্লিতে ভাল চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেয় সে। ভারচুয়াল দুনিয়ার বন্ধুকে ভরসা করে গত বছর ৩১ ডিসেম্বর দিল্লি পৌঁছে যায় যুবতী। প্রথমে মহিপালপুরের একটি হোটেলে ওঠে। বান্টি তাঁকে চাকরির সন্ধান দেবে, এই আশায় বেশ কদিন কেটে যায়। কিন্তু চাকরির কোনও খোঁজ না আসায় সন্দেহ হয় নেপালি যুবতীর। বান্টিকে জিজ্ঞেস করতেই যুবতী এমন এক প্রস্তাব পান, যাতে চমকে ওঠেন তিনি। বন্ধু তাঁকে যৌনপল্লীতে যোগ দিয়ে অর্থ উপার্জনের সহজ পথের কথা জানায়। এরপর তাঁকে জোর করে বেশ্যাবৃত্তিতে নিযুক্ত করে ধর্ষণ করা হয়।
আদালতের দ্বারস্থ হয়ে যুবতী আরও জানান, বান্টির সঙ্গে তার তিন বন্ধু রাহুল ঠাকুর, জয় ও বিক্রমও এ ব্যাপারে জোট বেঁধেছিল। বিক্রমও যুবতীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পুলিশ বান্টিকে গ্রেপ্তার করলেও বিক্রম পলাতক। রাহুলকে খুঁজে বের করার জন্য আদালতের কাছে বান্টির পুলিশি হেফাজতের আর্জি জানালেও তা খারিজ করে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত বান্টির আপাতত ঠাঁই হয়েছে তিহার জেলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.