সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ওড়িশার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে উদ্ধার হল এক নেপালি ছাত্রীর দেহ। ভুবনেশ্বেরের কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজির হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতেও এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল হস্টেলের ঘরে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় অন্য ছাত্রীরা। দ্রুত খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। খবর দেওয়া হয়েছে মৃতা ছাত্রীর মা-বাবা এবং নেপালের দূতাবাসকে। দেহ ভুবনেশ্বরের এইমসে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। ঠিক কীভাবে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে তা রিপোর্ট পেলে জানা যাবে। এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে এই মৃত্যু নিয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজির হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয় এক ছাত্রীর দেহ। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন নেপালি ছাত্রছাত্রীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে নেপালি পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় হাজার খানেক। ছাত্রছাত্রীরা একজোট হয়ে প্রতিবাদে স্লোগান দিতে থাকেন, রাস্তা অবরোধ করেন। বিক্ষোভ থামাতে এক ছাত্রকে আটক করা হয়। অন্যদিকে কাঠমান্ডুতে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখান একদল নেপালি ছাত্র। প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিয়ে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানান তাঁরা।
মৃত ছাত্রীর বাবা সংবাদমাধ্যমকে জানান, গত বেশ কয়েক মাস ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তাঁর মেয়ে। তাঁকে বার বার ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল। নানা ভাবে মানসিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল তাঁর উপর। অভিযোগ, একাধিক বার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দরজায় কড়া নাড়লেও সাড়া মেলেনি। যে কারণেই আত্মহননের পথ বেছে নেন ওই ছাত্রী। সেই মৃত্যুর তিন মাস যেতে না যেতেই ফের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু ঘিরে বিতর্ক ছড়াল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.