সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার থেকে পাসপোর্টের আবেদন করার ক্ষেত্রে জন্ম-তারিখের প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা যাবে আধার কার্ড৷ এমনকী, ই-আধার কার্ডও এক্ষেত্রে যথাযথ প্রমাণরূপেই বিবেচ্য হবে৷
এর আগে জন্ম-তারিখের প্রমাণ হিসাবে সমস্ত আবেদনকারীকে বাধ্যতামূলকভাবে নিজেদের জন্মের শংসাপত্র অর্থাৎ বার্থ সার্টিফিকেট জমা করতে হত সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের কাছে৷ শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে যে নয়া পাসপোর্ট নীতি ঘোষণা করা হয়েছে, তাতেই এই গুরুত্বপূর্ণ বদলের কথা জানানো হয়েছে৷ একই সঙ্গে নয়া এই নীতিতে আরও কিছু বিষয়ে সরলীকরণ করা হয়েছে৷ যেমন, এবার থেকে বিবাহ-বিচ্ছিন্ন মহিলা বা পুরুষের ক্ষেত্রে তাঁর সন্তানের পাসপোর্টের আবেদনপত্রে প্রাক্তন স্বামী বা স্ত্রীর নাম উল্লেখ করা আর বাধ্যতামূলক নয়৷ নয়া পাসপোর্ট নীতিতে পিতৃ-মাতৃহারা ‘অনাথ’ সন্তান, দত্তক তথা ‘অ্যাডপটেড চাইল্ড’ এবং সাধু-সন্তদের জন্যও থাকছে বিশেষ সুবিধে৷
বিদেশ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ভি কে সিং জানিয়েছেন, ‘সমাজের চাহিদা’কে গুরুত্ব দিয়ে এবং সাম্প্রতিক সময়ের সঙ্গে তাল রেখেই পাসপার্ট নীতিতে অতি গুরুত্বপূর্ণ এই সব বদল আনা হয়েছে৷ ‘সিঙ্গল পেরেন্ট’ অর্থাৎ সঙ্গীর সঙ্গে যাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে গিয়েছে কিংবা অবিবাহিত পুরুষ বা মহিলা যাঁরা সন্তান দত্তক নিয়েছেন বা আইভিএফ পদ্ধতিতে একক জনক-জননী হয়েছেন এবং একা হাতে সন্তানের দায়িত্ব পালন করছেন, সন্তানের পাসপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে তাঁরা যে সব সমস্যার মুখোমুখি হন, মূলত সেগুলিকে মাথায় রেখেই এই নয়া নীতিতে তাঁদেরকে কাঙ্ক্ষিত সুবিধা দেওয়া হয়েছে৷
নয়া পাসপোর্ট নীতি অনুযায়ী, বিচ্ছিন্ন হোন অথবা বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়ে থাকুক, কোনও দম্পতির একজন তাঁর সন্তানের পাসপোর্টের আবেদনপত্রে সঙ্গীর নাম লিখতে আর বাধ্য নন৷ এক্ষেত্রে তাঁকে ডিভোর্সের প্রমাণপত্রও পেশ করতে হবে না৷ শুধু তাই নয়, বিবাহিত দম্পতিদের ক্ষেত্রে পাসপোর্টের জন্য আবেদন পেশ করার সময় বিবাহের শংসাপত্র আর দেখাতে হবে না৷ অনাথালয় বা চাইল্ড কেয়ার হোমে বড় হওয়া পিতৃ-মাতৃহারা সন্তান, যাঁদের জন্ম সংক্রান্ত বা ম্যাট্রিক পরীক্ষার শংসাপত্র নেই, নয়া পাসপোর্ট নীতি মেনে পাসপোর্টের আবেদন করার সময় তাঁদের জন্যও থাকবে বিশেষ সুবিধা৷ এবার অনাথালয়ের প্রধানের অফিসিয়াল লেটার হেড থেকে লেখা একটি চিঠি প্রমাণ-সাপেক্ষে পেশ করলেই চলবে৷ সাধু-সন্ন্যাসীদের ক্ষেত্রে এখন থেকে তাঁদের পাসপোর্টের আবেদনপত্রে নিজেদের আধ্যাত্মিক গুরুর নাম লিখলেই চলবে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.