সংবাদ প্রতিদিন ডি়জিটাল ডেস্ক: নির্বাচনী চমক দিয়ে সংসদ অধিবেশনের শেষ মুহূর্তে উচ্চবর্ণের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের জন্য বাড়তি সংরক্ষণ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু সেই চমকে এবার ‘সুপ্রিম’ ধাক্কা। কেন্দ্রের ঘোষণার বিরোধিতায় শীর্ষ আদালতে দায়ের করা একাধিক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতিরা খতিয়ে দেখতে চান, আদৌ ৫০ শতাংশের বেশি সংরক্ষণ সংবিধান স্বীকৃত কি না।
চলতি মাসেই শেষ হওয়া সংসদ অধিবেশনের শেষের আগের দিন উচ্চবর্ণ অথচ আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষজনের শিক্ষা এবং চাকরিতে ১০ শতাংশ অতিরিক্ত সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। বলা হয়েছিল, যাঁদের বার্ষিক আয় ৮ লক্ষ টাকার নিচে এবং কৃষিজমি ৫ একরের কম, তাঁরাই আসবেন এই সুবিধার আওতায়। এই সুবিধা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের কথাও বলা হয়েছিল। এর বিরোধিতায় মামলাকারীরা ১৯৯২ সালের মণ্ডল কমিশনের উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‘সংবিধানে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, এদেশে আর্থিক পরিস্থিতিই সংরক্ষণের একমাত্র মাপকাঠি হতে পারে না। কিন্তু কেন্দ্রের নতুন ঘোষণা পুরোপুরি আর্থিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে হয়েছে। ৫০ শতাংশের বেশি সংরক্ষণের ঘোষণা হলে, তা অসাংবিধানিক এবং এখনই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা উচিত।’ অন্যদিকে, মামলাকারীদের সব যুক্তি উড়িয়ে অবশ্য দিল্লি সরকারের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে তামিলনাডুর শিক্ষাক্ষেত্রে ৬৯ শতাংশ সংরক্ষণ। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্তব্য, ‘আমরা সবার ক্ষেত্রে একইরকম সুযোগ দিতে চাই। আর্থিক এবং সামাজিকভাবে পিছিয়ে থাকা সকলের একইরকম সুবিধা দেওয়ার পক্ষে আমরা। অন্যায়ের দিন শেষ হওয়া উচিত।’
[ঋণমকুবের নামে প্রহসন, মধ্যপ্রদেশে মাত্র ১৩ টাকা ছাড় পেলেন কৃষক]
এসব শুনে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন এক সাংবিধানিক বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কেন্দ্রের ঘোষণামতো সংরক্ষণ সংক্রান্ত আইনটি পরিবর্তন করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। কেন্দ্রের তরফে সংবিধান সংশোধন নিয়ে আবেদনের ভিত্তিতে চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত গোটা প্রক্রিয়াই স্থগিত থাকার সম্ভাবনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.