সোমনাথ রায়: ব্যর্থ বিজেপির প্রতিশোধমূলক রাজনীতির ছক! এক বছরের পুরনো মামলায় তৃণমূল সাংসদদের জামিন দিল দিল্লির আদালত। মঙ্গলবার রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট ৯ সাংসদকেই জামিন দিয়েছে। ২০২৪ সালে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের সামনে ডেরেক ও ব্রায়েন, দোলা সেন, সাগরিক ঘোষ, সাকেত গোখলেদের ধরনায় আইনভঙ্গের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল। তাতে সাংসদদের সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। সেই নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার আদালতে হাজিরা দেন সকলে। শর্তসাপেক্ষে তাঁদের সকলের জামিন মঞ্জুর করেন রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের বিচারক।
ঠিক কী ছিল মামলাটি? গত লোকসভা নির্বাচনের আগে অর্থাৎ ২০২৪ সালে বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগাচ্ছে কেন্দ্র, এই অভিযোগে বারবার সরব হতে শোনা গিয়েছিল তৃণমূল নেতাদের। ইডি, সিবিআইয়ের অতিসক্রিয়তার অভিযোগও তোলা হয়। এর প্রতিবাদস্বরূপ লোকসভা ভোটের মাঝেই একবার দিল্লির নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের সামনে অবস্থানে বসেছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন, সাকেত গোখলে, দোলা সেন, অর্পিতা ঘোষ, সাগরিকা ঘোষ, বিবেক গুপ্তা, নাদিমুল হক, আবীররঞ্জন চট্টোপাধ্যায়-সহ ১০ জন। পুলিশের অভিযোগ, ওই সময় ওখানে ধরনার অনুমতি ছিল না। আগে থেকেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তা না মেনেই তৃণমূল সাংসদরা নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের সামনে জমায়েত করেছিলেন। এই মামলা আসলে বিরোধীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দলের প্রতিশোধমূলক রাজনীতি বলে অভিযোগ তোলা হয়েছিল।
এই মামলায় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট তৃণমূল সাংসদদের সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেইমতো মঙ্গলবার, ১৩ মে তাঁরা ডেরেক ও ব্রায়েন, সাকেত গোখলে, দোলা সেন, অর্পিতা ঘোষ, সাগরিকা ঘোষরা হাজিরা দেন। একমাত্র বিবেক গুপ্তা সশরীরে হাজিরা দিতে পারেননি। তিনি ভিডিও কনফারেন্সে শুনানিতে যোগ দেন। প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা ব্যক্তিগত বন্ডের বিনিময়ে জামিন মঞ্জুর করে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২১ মে। রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের এই নির্দেশ আসলে বিজেপির বিরোধীদের কোণঠাসা করার চক্রান্ত ব্যর্থ হল বলেই মনে করছে তৃণমূল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.