সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর। স্থান দিল্লির মুনিরকা। ওই রাতেই ঘটেছিল দেশজুড়ে রাতারাতি আলোড়ন সৃষ্টিকারী নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ড। সেদিন নির্যাতিতা তরুণীর সঙ্গেই ছিলেন তাঁর বন্ধু অবনীন্দ্র পাণ্ডে। গোটা ঘটনা ঘটেছিল তাঁরই চোখের সামনে। পরবর্তীকালে একাধিক টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে মুখ দেখিয়ে, তিনি তা বর্ণনাও করেছেন।
কিন্তু, সম্প্রতি সামনে এসেছে এক ভয়ংকর তথ্য। জানা গিয়েছে, নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের চাক্ষুষ বর্ণনা দেওয়ার জন্য টিভি চ্যানেলগুলোর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করতেন তিনি। একটি স্টিং অপারেশনের সূত্র ধরে গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। আর যিনি তা এনেছেন, তাঁর নাম অজিত অঞ্জুম। পেশায় সাংবাদিক।
হিন্দিতে করা একের পর এক টুইটে অজিত জানান, ‘২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ঘটনা। নির্ভয়া কাণ্ডের এক অভিযুক্তকে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট ফাঁসির সাজা শোনায়। সেসময় সমস্ত টিভি চ্যানেলে নির্ভয়া কাণ্ডেরই খবর সম্প্রচার করা হচ্ছিল। আর তখনই তাঁর সেই বন্ধুও সেখানে হাজির থেকে সেই রাতের ভয়ংকর বিবরণ সকলের সামনে তুলে ধরছিলেন। আমি তখন ঠিক করলাম, আমরাও তাঁকে ডাকব। আমি আমার রিপোর্টারদের বললাম, ওঁকে স্টুডিওতে ডাকতে। কিন্তু ওরা বলল, ওই বন্ধু যে স্টুডিওতেই যান সেখানে নিজের এক কাকাকে সঙ্গে করে নিয়ে যান। আর মুখ দেখানোর জন্য মোটা টাকা দাবি করেন। আমি শুনে বিশ্বাস করতে পারিনি।’
এরপরে অন্য একটি টুইটে অজিত জানান, ‘তখনই ঠিক করি, এই বন্ধুটির কীর্তি প্রকাশ্যে আনব। স্টিং অপারেশন করব। আমার রিপোর্টার ওঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন, স্টুডিওতে আসতে বলেন। এর বদলে বন্ধুটি এক লক্ষ টাকা চান। ওঁকে সে টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু, পুরোটাই ক্যামেরায় রেকর্ড করা হয়। পরে ওঁকে এই টাকা নেওয়ার কথা বললে সরাসরি অস্বীকার করেন তিনি। তখন তাঁকে ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়। এরপরই নিজের ভুল মানতে বাধ্য হন। ক্ষমাও চান।’
मेरे रिपोर्टर ने मेरे सामने बैठकर मोबाइल से उस लड़के के चाचा से बात की. उसने एक लाख लेकर स्टूडियो में आने की बात की. कम करके 70 हजार पर बात तय हुई. मैंने सोचा कि कहीं चाचा तो भतीजे के नाम पर पैसे नहीं ले रहा?
— Ajit Anjum (@ajitanjum) October 12, 2019
मैं चाहता था कि पैसे उस लड़के के सामने दिए जाएं
(6/10)
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.