সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের কবে ফাঁসি হবে, তা নিয়ে আইনি জটিলতার মাঝেই আত্মহত্যার চেষ্টা করল ধর্ষক-খুনি বিনয় শর্মা। তিহার জেলের শৌচালয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে। পুলিশ তাকে দ্রুত উদ্ধার করেছে। যদিও জেল কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে। এদিকে ঘটনার সময়ে নিজেকে নাবালক বলে দাবি করে এবার সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল করল পবন শর্মা। এর আগে দিল্লি হাই কোর্ট তার ‘নাবালক’ দাবি খারিজ করে দিয়েছিল।
তিহার জেল সূত্রে আগেই জানানো হয়েছিল, চার দোষী বিনয়, অক্ষয়, মুকেশ, পবনের মধ্যে সবচেয়ে ভেঙে পড়েছে ২৬ বছরের বিনয় শর্মা। গত সপ্তাহেই তাঁর ফাঁসির সাজা পুনর্বিবেচনার আরজি খারিজ করে দেয় আদালত। এরপর বুধবার সকালে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে। সূত্রের খবর, চার জনের আলাদা সেলেই সিসিটিভি রয়েছে। চার নম্বর সেলে একটি সিঙ্গল রুমে ছিল বিনয় শর্মা। সেখানে একটি পর্দা দিয়ে শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা ছিল। সেখানে লোহার একটা টুকরো ছিল। বুধবার সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে সেই লোহায় একটি দড়ি বেঁধে ফাঁস তৈরি করার চেষ্টা করে বিনয়। তবে ফাঁসটি যেভাবে তৈরি করা হয়েছিল তার উচ্চতা ৫-৬ ফুট হওয়ায় সে ঝুলে পড়তে পারেনি। সেই সময়ই কর্তব্যরত পুলিশের নজরে আসে বিষয়টি।
[ আরও পড়ুন: পুলিশের মাথায় হাত, নিখোঁজ প্যারোলে মুক্ত মুম্বই বিস্ফোরণে সাজাপ্রাপ্ত ‘ড: বম্ব’ ]
২০১৬ সালেও বিনয় একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। ২০১৫-এ এই গণধর্ষণকাণ্ডে সবচেয়ে যে নৃশংস অত্যাচার চালিয়েছিল সেই রাম সিংও তিহারে আত্মহত্যা করে। শরীর অসুস্থ থাকলে ফাঁসি দেওয়া যায় না। সেই কারণেই হয়তো বিনয় আত্মহত্যার চেষ্টা করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে নিজেকে আহত করার চেষ্টা করতে পারে বলে পুলিশের একাংশের সন্দেহ। বৃহস্পতিবার মুকেশের প্রাণভিক্ষার আরজি খারিজ করে দেয় দিল্লি সরকার। এরপর প্রোটোকল অনুযায়ী, সেই আবেদন পাঠিয়ে দেওয়া হয় লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজালের কাছে। তিনি তা পাঠান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরে। সেখান থেকেই কাল রাষ্ট্রপতির কাছে তা পাঠানো হয়। সঙ্গে সুপারিশ করা হয় ফাঁসির পক্ষেই যেন তিনি মত দেন। এদিকে, আর এক অপরাধী পবনের বাবা দিল্লির আদালতে নয়া পিটিশন দাখিল করেছেন। তার শুনানি ২৭ জানুয়ারি হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.