ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাউডস্পিকারে দেওয়া যাবে না আজান। শুধুমাত্র খালি গলাতেই দিতে হবে। শুক্রবার আজান সংক্রান্ত একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে এই নির্দেশই দিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট। এপ্রসঙ্গে আদালতের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, কেউ যদি জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া লাউডস্পিকারের মাধ্যমে আজান দেয়। তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে এপ্রিলের ২৫ তারিখ নাগাদ উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায় রমজান মাসে মসজিদে লাউডস্পিকারে আজান না দেওয়ার নির্দেশ দেয় প্রশাসন। এমনটাই অভিযোগ করা হচ্ছিল উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন মসজিদ কর্তৃপক্ষের তরফে। গাজিপুরের কয়েকটি জেলার পাশাপাশি ফারুকাবাদেও মাইক বন্ধ করে দেওয়ার কথা শোনা যায়। বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানানোর পাশাপাশি এলাহাবাদ হাই কোর্টে একটি মামলাও দায়ের হয়েছিল।
শুক্রবার এপ্রসঙ্গে এলাহাবাদ হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি শশীকান্ত গুপ্তা ও অজিত কুমার বলেন, ‘আমাদের মতে আজান ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য অঙ্গ। কিন্তু, লাউডস্পিকার ও অন্যান্য যন্ত্রের সাহায্যে আজান দিতে না দেওয়ার বিষয়টি কখনই সংবিধানে বর্ণিত ২৫ নম্বর ধারার লঙ্ঘন করতে পারে না। আমাদের সংবিধানে পরিষ্কার বলা হয়েছে, যতক্ষণ না কারোর সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে ততক্ষণ অন্য একজন নাগরিক ভাল লাগছে না এরকম কিছু শুনতে বাধ্য নন। উলটে যদি তাঁকে এই কাজ করতে বাধ্য হতে হয় তাহলে তা আইন বিরোধী।’
এপ্রিল মাসের শেষের দিকে এই বিষয়টি নিয়ে এলাহাবাদ হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন গাজীপুরের বিএসপি সাংসদ আফজল আনসারি। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাউডস্পিকারে আজান দেওয়ার উপরে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তা তুলে নেওয়ার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু, তা খারিজ করে লাউডস্পিকারে আজান দেওয়া বন্ধ করতে বলল ডিভিশন বেঞ্চ। তবে জেলা প্রশাসন যদি লাউডস্পিকারে আজান দেওয়ার অনুমতি দেন তা হলে কোনও অসুবিধা নেই বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.