সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলওয়ামা হামলার পর থেকে সীমান্তে যেন মৃত্যু মিছিল। সীমান্তে টানটান উত্তেজনা আর দেশের অন্দরে রাজনীতির উত্তাপ পাল্লা দিয়ে চড়ছে। রাজনীতি যতই নোংরা হোক। শহিদ সেনা জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানানোর ন্যূনতম সৌজন্য সব দলই দেখায়। কিন্তু বিহারের শহিদ সিআরপিএফের জওয়ান পিন্টু কুমার সিংয়ের কপালে সেটুকুও জুটল না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, খোদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত। প্রধানমন্ত্রীর সভায় ভিড় জমানোর কাজে নিযুক্ত বাকি নেতা-মন্ত্রীরা। যে কারণে, শহিদ জওয়ানকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে গেলেন না রাজ্যের প্রথম সারির কোনও নেতা-মন্ত্রী। বিমানবন্দরে প্রধামন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে গিয়েছেন অনেক নেতা-মন্ত্রীই। কিন্তু, পিন্টু কুমার সিংয়ের বেলায় ফুরসত হল না কারও।
পিন্টু কুমার সিং দিন দুই আগে কুপওয়ারা সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান চলাকালীন জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারান। রবিবার সকালে পাটনা বিমানবন্দের এসে পৌঁছায় তাঁর দেহ। কাকতালীয়ভাবে এদিনই পাটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজয় সংকল্প অভিযান নামের মেগা ব়্যালি ছিল। রাজ্যের প্রথম সারির নেতা-মন্ত্রীরা সকলেই ব্যস্ত ছিলেন সেই জনসভার আয়োজনে। তাই শহিদকে ন্যূনতম সম্মানটুকু জানানোর সময় হয়নি রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীদের। তাঁর শেষকৃত্যে উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি হল জেলাশাসক রবি কুমার এবং স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক গরিমা মল্লিক। নেতাদের মধ্যে ছিলেন বিহার প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি মদম মোহন ঝাঁ এবং রামবিলাস পাসোয়ানের দলের এক সাংসদ মেহবুব আলি কাইজার। শাসক শিবিরের প্রতিনিধি হিসেবে একমাত্র তিনিই উপস্থিত ছিলেন।
সিআরপিএফ জওয়ান পিন্টু কুমার সিংয়ের কাকা সঞ্জয় সিংয়ের আফশোস, “মুখ্যমন্ত্রী শেষযাত্রাতেও সম্মান জানাতে আসতে পারলেন না এটাই দুর্ভাগ্যের।” কংগ্রেস সভাপতি মদন মোহন ঝাঁ অবশ্য, এ নিয়ে রাজনৈতিক মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, “আমি এখানে রাজনীতি করতে আসিনি। শুধু শহিদকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে এসেছি।” এলজেপি সাংসদ মেহবুব আলি কাইজার, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জোটসঙ্গী। তিনিও বললেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজে না আসতে পারলেও অন্তত কোনও মন্ত্রীকে পাঠাতে পারতেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.