সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এনআরসি (NRC) এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব ইস্যুতে (CAA) রীতিমতো চাপে গেরুয়া শিবির। এবার বিজেপি শাসিত রাজ্য কর্ণাটকেই এনআরসি হওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, কর্ণাটক সরকার রাজ্যে এনআরসি চালু করতে প্রস্তুত নয়। পরিবর্তে তাঁরা একটি উদ্বাস্তু তালিকা তৈরি করবে।
সদ্য কংগ্রেস-জেডিএস জোটকে সরিয়ে কর্ণাটকে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। কন্নড়ভূমে মুসলিম ভোটারদের সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়। তাই, ঝুঁকি নিতে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদ্দুরাপ্পা। কর্ণাটক সরকার সূত্রের খবর, রাজ্যে এনআরসির পরিবর্তে একটি তালিকা তৈরি করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। যাতে, সব ধর্মের উদ্বাস্তুদের নাম থাকবে। তাঁরা কবে থেকে কর্ণাটকে বসবাস করছেন, বা কোথায় বাস করছেন, সেসব হিসেব রাখা হবে। তবে, এর ভিত্তিতে কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। বা কারও বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না। অর্থাৎ, পুরোদস্তুর এনআরসি খারিজ করার পক্ষে কর্ণাটক সরকার।
কর্ণাটক যদি সত্যিই এনআরসি লাগু করতে না চায়, সেক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন নিয়েই প্রশ্ন উঠে যাবে। কারণ, ইতিমধ্যেই অবিজেপি ৮টি রাজ্য এনআরসি না চালু করার কথা ঘোষণা করে দিয়েছে। এনআরসি না মানার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির জোটসঙ্গী নীতীশ কুমারও। যার ফলে, দেশের মোট ১০টি রাজ্যের ইতিমধ্যেই এনআরসি না করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়ে গেল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কেরল ও পশ্চিমবঙ্গ। এই দুই রাজ্য অবশ্য শুধু এনআরসি নয়, এনপিআরেরও বিরোধী। দুই রাজ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এনপিআরের কাজ।
এদিকে, সিএএ নিয়ে যে বিক্ষোভ শুধুমাত্র সরকার বনাম সংখ্যালঘু মুসলিমদের বিক্ষোভ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছিল। এখন তা গণ আন্দোলনের রূপ নিয়েছে। যার চাপ রীতিমতো অনুভব করতে পারছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই, নাগরিকত্ব নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে সুর নরমের ইঙ্গিত মিলেছে। এবার উলটো সুরে কথা বলা শুরু করলেন ইয়েদুরাপ্পাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.