সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিশিল্ডের (Covishield) দুই টিকার মধ্যেকার সময়ের ব্যবধান নিয়ে কেন্দ্রের টালবাহানা অব্যাহত। ভারতে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত এই টিকাটির দুটি ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান ইতিমধ্যেই একাধিকবার বাড়িয়েছে কেন্দ্র। এবার শোনা যাচ্ছিল, এই ব্যবধান নাকি কমানো হতে পারে। যদিও, পরে কেন্দ্রের টিকাকরণ সংক্রান্ত কমিটির প্রধান আবার দাবি করলেন, এই ধরনের কোনও চিন্তাভাবনা এখনই করা হচ্ছে না।
কোভিশিল্ডের প্রথম টিকা নেওয়ার পর অন্তত ৮৪ পর দ্বিতীয় টিকা দেওয়ার নিয়ম বর্তমানে চালু রয়েছে দেশে। টিকাকরণের একেবারে শুরুতে এই ব্যবধান ছিল চার থেকে ছয় সপ্তাহ। পরে তা খানিকটা বাড়িয়ে করা হয় ৮ সপ্তাহ। পরে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের ব্যবধান আরও বাড়িয়ে করা হয় ১২ সপ্তাহ। যা নিয়ে শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। বিরোধীরা দাবি করে, টিকার (Corona Vaccine) অপ্রতুলতা ঢাকতেই এভাবে দুটি ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও, কেন্দ্র দাবি করে এক ব্রিটিশ গবেষণার ভিত্তিতে ব্যবধান বাড়ানো হয়েছে। কারণ, এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নাকি বাড়ে।
ঘটনাচক্রে, ব্রিটেনে করোনার ডেল্টা স্ট্রেনের হানা রুখতে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যেকার ব্যবধান অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। শোনা যাচ্ছিল, ভারতও এবার সেই পথে হাঁটবে। এমনকী কেন্দ্রীয় সরকারের এক সূত্র বৃহস্পতিবারই দাবি করেছিল, কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের ব্যবধান কমানো নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে। কিন্তু সেই দাবি পুরোপুরি নস্যাৎ করে দিলেন সরকারের টিকাকরণ সংক্রান্ত কমিটির (NTAGI ) প্রধান এন কে অরোরা। তিনি জানিয়েছেন, আমরা নিয়মিত ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে নজরদারি চালাচ্ছি। আর এখনই টিকার দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান কমানোর কোনও প্রস্তাব নেই।
এদিকে, বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছে, এই মুহূর্তে দেশের করোনা সংক্রমণের একটা বড় অংশ আসছে শুধু কেরল থেকে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দাবি, এই মুহূর্তে দেশের ৫১ শতাংশ করোনা কেসের জন্য দায়ী কেরল। শুধু কেরলের জন্যই গোটা দেশের এই সংকট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.