সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) কি নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে পারেন? সেই আশা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল খোদ নরওয়ের নোবেল কমিটির উপনেতা অ্যাসলে তোজের কথায়। তাঁর বক্তব্য ছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নোবেল শান্তি পুরস্কার (Nobel Peace Prize) পাওয়ার সবচেয়ে বড় দাবিদার। মোদির প্রশংসনীয় নীতিতে ভর করেই ভারত শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হয়েছে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এই মুহূর্তে ভারতেই রয়েছেন নোবেল কমিটির উপনেতা অ্যাসলে তোজে (Asle Toje)। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তোজে বলেছিলেন, “আজকের দিনে গোটা বিশ্বে শান্তির সবচেয়ে বড় প্রতীক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।” তাঁর মতে, মোদি এমন একজন বিশ্বস্ত মুখ যার যে কোনও দুটি দেশের মধ্যে যুদ্ধ থামিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আছে। তাঁর নীতির জেরেই ভারত আজ সমৃদ্ধ এবং শক্তিশালী। তোজে স্পষ্ট বলে দিচ্ছেন, মোদি যদি নোবেল পান, তাহলে সেটা একজন যোগ্য নেতাকে প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হবে।
এর আগেও একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নোবেল দেওয়ার দাবি উঠেছে। এমনকী দেশের একাধিক সাংসদ তাঁকে মনোনীতও করেছেন নোবেল পুরস্কারের জন্য। তবে সেটা শীর্ষপর্যায়ে তেমন গুরুত্ব পায়নি। তবে এবার খোদ নোবেল কমিটির অন্যতম শীর্ষকর্তার বক্তব্যে সেই আশা উজ্জ্বল হয়েছিল বটে, তবে তিনি অস্বীকার করায় চূড়ান্ত বিভ্রান্তি ছড়াল।
এমনিতেই প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা গগনচুম্বী। শুধু দেশ নয়, বিদেশের মাটিতেও তাঁর ইমেজ অত্যন্ত উজ্জ্বল। তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিদার বলে নোবেল কমিটির উপনেতা যে মন্তব্য করেছিলেন, তা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। বিরোধীরা যখন দেশের গণতন্ত্র হত্যা নিয়ে দিনরাত গেল গেল রব তুলছে, তখন নোবেল কমিটির উপনেতার এই মন্তব্যকে পালটা প্রচারের হাতিয়ার করতে পারত বিজেপি। কিন্তু অ্যাসলে তোজে নিজেই পরে তা অস্বীকার করায় বিভ্রান্ত গেরুয়া শিবিরও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.