সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নীল তিমির আতঙ্ক এখনও মানুষের মনে টাটকা। অনলাইন গেমের জন্য মানুষ কতটা দূর যেতে পারে, তা আগেই দেখেছে দুনিয়া। এখন কিছুটা হলেও সে ম্যানিয়া থেকে একটু সতর্ক হয়েছেন অনেকে। কিন্তু কিশোর-কিশোরীদের আসক্ত করে তুলছে অন্য এক মারণ খেলা। এবার কাঠগড়ায় ‘গ্যাংস্টার ইন হাই স্কুল’। এই খেলাতে বাধা দেওয়াতেই মা ও বোনকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে নয়ডার এক ১৬ বছরের কিশোরের বিরুদ্ধে।
[খুনের ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করে ১৪ বছরের কিশোর, আফরাজুল হত্যা কাণ্ডে নয়া তথ্য]
ঘটনাটি ঘটেছিল ডিসেম্বর মাসের ৫ তারিখ। নিহতদের নাম অঞ্জলি (৪২) ও মণিকর্ণিকা (১০)। অঞ্জলির স্বামী সৌম্য আগরওয়াল পেশায় ব্যবসায়ী। ঘটনার দুই দিন আগে তিনি কাজের জন্য গুজরাটে ছিলেন। নয়ডার আবাসনে নিজের মেয়ে ও বড় ছেলেকে নিয়ে থাকছিলেন অঞ্জলি। ঘটনার দিন রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বাড়িতে ফোন করেন সৌম্য। কেউ ফোন ধরছে না দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। প্রতিবেশীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। তাঁরা জানান দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। এরপর বিরাট নামে নিজের এক বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন সৌম্য। বিরাট ঘটনাস্থলে এসে দরজা বন্ধ দেখে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে রক্তের দাগ দেখতে পায়। বেডরুমে অঞ্জলি ও তাঁর মেয়ের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ১৬ বছরের ওই কিশোর। এদিকে ফ্ল্যাটের বাথরুম থেকে রক্তমাখা টি-শার্ট ও প্যান্ট উদ্ধার হয়। বেডরুম থেকে মেলে রক্তমাখা ক্রিকেট ব্যাট ও কাঁচি।
[বিয়ের পর ধর্ম বদলায় না মহিলাদের, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট]
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের সন্দেহ ১৬ বছরের কিশোরই মা ও বোনকে হত্যা করেছে। মোবাইলে গেম খেলার নেশা ছিল দশম শ্রেণির ওই ছাত্রের। তাই করছিল সে। বোন দাদার গেম খেলার কথা মাকে জানিয়ে দেয়। ছেলেকে বকাবকি করেন অঞ্জলি। সেই রাগ থেকেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে সে, এমনটাই অনুমান পুলিশের। যদিও এই তত্ত্ব মানতে নারাজ অঞ্জলির পরিবার। তাঁদের দাবি, নাবালক এমন কাজ করতেই পারে না। তাকেও কেউ অপহরণ করতে পারে। তবে বাড়িতে চুরি-ডাকাতি কিংবা উপদ্রবের চিহ্ন মেলেনি বলে পালটা দাবি পুলিশের। সিসিটিভি ফুটেজে রাত ৮.১৫ মিনিট নাগাদ ছেলে-মেয়ে নিয়ে আবাসনে ঢুকতে দেখা গিয়েছে অঞ্জলিকে। তারপর একমাত্র ছেলেকেই আবাসন থেকে বের হতে দেখা গিয়েছে। তাও আবার খুনের সময়ের পরে। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। খুনের হাতিয়ারও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। টি-শার্ট ও প্যান্টে লাগা রক্তের দাগেরও ডিএনএ টেস্ট করা হচ্ছে। নিখোঁজ কিশোরকে খোঁজার জন্য ইতিমধ্যেই পাঁচটি দল গঠন করে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
[কনস্টেবল পদে এবার নিয়োগ বৃহন্নলারাও, বড় উদ্যোগ ছত্তিশগড় পুলিশের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.