ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: মাংস তো বন্ধই। এমনকী বন্ধ ডিমও। কারও কারও আপত্তিতে সবরকম আমিষ খাবারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল বম্বে আইআইটি। এই মর্মে সিভিল বিভাগের একটি নোটিস হাতে পাওয়ার পর তা নিয়ে নির্দিষ্ট করে অভিযোগ জানান রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
[ দুর্নীতি মামলায় স্বস্তি কার্তি চিদম্বরমের, অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর আদালতের ]
জানা যাচ্ছে, গত জানুয়ারিতে এই নোটিস জারি করা হয়। যেখানে পরিষ্কার বলা হয়, সিভিল বিভাগের ক্যান্টিনে কোনওরকম আমিষ খাবার পরিবেশন করা হবে না। মাছ-মাংস তো দূর অস্ত, ডিমেরও প্রবেশ নিষিদ্ধ। নির্দিষ্ট কোনও গোষ্ঠীর অভিযোগ ও আপত্তিতেই এই নির্দেশিকা বলে জানানো হয়। এই নোটিস হাতে আসার পরই এ নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এভাবে খাদ্যাভাস নিয়ন্ত্রিত করার অভিযোগে তিনি মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের দ্বারস্থ হন। আদৌ এ ঘটনা ঘটেছে কিনা, এবং কেন ঘটানো হয়েছে সে প্রশ্ন রাখেন।
তার উত্তর পান ২২ মার্চ। ঋতব্রতকে উত্তর দিয়ে মন্ত্রক জানায়, বম্বে আইআইটি-র ক্যাফেতে আমিষ নিষিদ্ধ করা হয়নি। সুতরাং তার কারণ নিয়ে মাথা ঘামানোর কোনও প্রশ্নই নেই। ঋতব্রত আরও প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছিলেন, ওই বিভাগের সকল পড়ুয়া কি নিরামিশাষী? মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, প্রতিষ্ঠানের তরফে এরকম কোনও সমীক্ষা করা হয়নি। কিন্তু মন্ত্রকের এই উত্তরে সন্তুষ্ট নয় সাংসদ। তাঁর সাফ কথা, নোটিসে যখনে আপত্তিতে আমিষ বন্ধের কথা লেখা ছিল, তাহলে নিশ্চিত তার ভিত্তি আছে। আর যেহেতু এরকম কোনও সমীক্ষাই হয়নি, সেহেতু আমিষ বন্ধ করারই বা দাবি উঠছে কেন? সাংসদের দাবি, কেন্দ্র সরকার সংসদে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে। যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
[ নাগরিক হওয়ার প্রমাণ দেয় না আধার, সুপ্রিম কোর্টে কবুল UIDAI কর্তৃপক্ষের ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.