সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামীকে খুন করার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল গুয়াহাটি হাই কোর্ট। বুধবার হাই কোর্টের সেই নির্দেশ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ভোগ করার পর মুক্তি পেলেন অসমের ওই মহিলা।
বছর সাতেক আগে অসমের ওই মহিলার স্বামী খুন হয়েছিলেন। খুন হওয়ার আগে স্বামীর সঙ্গেই ছিলেন ওই মহিলা। স্বামী খুন হওয়ার পরও একটুও কাঁদেননি তিনি। তাঁর চোখে একফোঁটা চোখের জল দেখতে পায়নি কেউ। স্বামী খুন হওয়ার পরেও স্ত্রীর চোখে জল নেই, শুধুমাত্র এই যুক্তিতেই ওই মহিলাকে তাঁর স্বামীর খুনি হিসেবে গণ্য করে নিম্ন আদালত। এই অস্বাভাবিক আচরণকেই প্রমাণ হিসেবে ধরে নিয়ে নিম্ন আদালত এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে গুয়াহাটি হাই কোর্ট ওই মহিলার সাজা ঘোষণা করে। এমনকী, গুয়াহাটি হাই কোর্টও নিম্ন আদালতের যুক্তিকে স্বীকৃতি দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ বহাল রাখে। হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যেই ওই মহিলার পাঁচ বছর কারাদণ্ড ভোগ করা হয়ে গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার মুক্তি পেলেন ওই মহিলা।
মহিলাকে মুক্তি দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আরএফ নরিম্যান এবং বিচারপতি নবীন সিনহার ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার জানায়, স্বামীর মৃত্যুতে না কাঁদা কোনও অপরাধ নয়। অন্যান্য পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণ থেকে এটা প্রমাণ হয়নি যে, ওই মহিলা খুনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাই শুধুমাত্র স্বামীর মৃত্যুর পর মহিলা কাঁদেননি এই যুক্তিতে কাউকে অপরাধী হিসাবে গণ্য করা যায় না। অবিলম্বে ওই মহিলাকে মুক্তি দেওয়া হোক। এদিন সুপ্রিম কোর্টের রায় জানার পর মহিলার পরিবারের তরফ জানানো হয়েছে, অবশেষে বিচার পেলেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.