সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর। তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে অতি দরিদ্র এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ড. এপিজে আবদুল কালাম (APJ Abdul Kalam )। এক সাধারণ মৎস্যজীবীর ছেলে থেকে কালক্রমে তিনি হয়ে ওঠেন ‘সর্বসাধারণের রাষ্ট্রপতি’। দেশের দুই গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেপণাস্ত্র ‘অগ্নি’ ও ‘পৃথিবী ’-র ডেভেলপমেন্ট ও অপারেশনের দায়িত্বে তাঁর অবদানের জন্য তাঁকে ডাকা হয় ‘মিসাইল ম্যান অফ ইন্ডিয়া’ নামে। কিন্তু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এমন বহুমুখী প্রতিভাধর মানুষটির অবদান আরও ব্যাপক ও বিস্তৃত। আসুন জেনে নেওয়া যাক।
১. ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO) এবং ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ISRO) হয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন তিনি। ভারতের প্রথম স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (এসএলভি থ্রি)-প্রোজেক্টের ডিরেক্টর ছিলেন ড. কালাম। দীর্ঘ দশ বছর ধরে পরিশ্রম করে এই প্রোজেক্টটিকে সফল করে তোলেন তিনি। ১৯৮০ সালের জুলাই মাসে এসএলভি থ্রি থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয় কৃত্রিম উপগ্রহ রোহিণীকে।
২. ১৯৯২ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিজ্ঞান উপদেষ্টার পদে নিযুক্ত ছিলেন ড. কালাম৷ এই সময়কালেই পরমাণু শক্তিধর দেশ হওয়ার দিকে এগিয়ে যায় দেশ। ১৯৯৮ সালে পোখরান-২ পরমাণু পরীক্ষার প্রধান পর্যবেক্ষক ছিলেন তিনিই। প্রধানমন্ত্রীর তরফে তাঁকে সবুজ সঙ্কেত পাঠানোর পর পোখরানে পরমাণু বিস্ফোরণ সংঘটিত করা হয়। এর মধ্যে চারটি ফিশন বোমা ছিল। ফিউশন বোমা ছিল একটি। পুরো প্রক্রিয়াটির নেপথ্য নায়ক ছিলেন কালামই।
৩. ড. কালাম ও কার্ডিওলজিস্ট সোমা রাজুর যৌথ গবেষণায় তৈরি হয় ‘কালাম-রাজু স্টেন্ট’। হৃদরোগের চিকিৎসায় এই স্টেন্ট অত্যন্ত সাশ্রয়ী স্টেন্ট হিসেবে গণ্য হয়।
৪. একই ভাবে তাঁরা তৈরি করেছিলেন ‘কালাম-রাজু ট্যাবলেট’। দেশের গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবা পরিচালনার জন্য নির্মিত হয়েছিল এই ট্যাবলেট কম্পিউটার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.