সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীঘ্রই রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের (Arif Mohammad Khan) বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে কেরলের (Kerala) বাম সরকার। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টেও আবেদন জানানো হতে পারে।
সূত্রের খবর, বাম জোট সরকার ইতিমধ্যেই ফলি এস নরিম্যানের পরামর্শ চেয়েছে। পাশাপাশি, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আন্দোলনও চালিয়ে যাবে সিপিএম (CPM)। শনিবার থেকে দলের দু’দিনের রাজ্য সম্মেলন শুরু হয়েছে। সেখানে এ বিষয়ে রাজ্য সরকারকে সম্পূর্ণ সমর্থন করার প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর প্রস্তাবেও সায় দিয়েছে রাজ্য কমিটি।
সম্প্রতি একাধিক ইস্যুতে রাজ্যপালের সঙ্গে কেরল সরকারের সংঘাত বেধেছে। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকেও (Pinarayi Vijayan) আক্রমণ করেছেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। তা নিয়ে কিছুদিন আগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (Droupadi Murmu) কাছে অভিযোগ জানিয়ে চিঠিও দিয়েছেন বিজয়ন। সরকারের দাবি, এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে বার বার রাজ্য সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করছেন রাজ্যপাল। একাধিক বিলে তিনি স্বাক্ষর করছেন না। এর জেরে রাজ্য সরকারের কাজে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজেও সমস্যা হচ্ছে। গত আগস্টে সরকার রাজ্যপালের কাছে যে ১১টি অর্ডিন্যান্স পাঠিয়েছিল সেখানে তিনি সই করতে চাননি। মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকতে পারেন বলেও সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের অবস্থান কী হত তা জানতে সরকার বিরোধী রাজ্যগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
সিপিএমের এক শীর্ষ নেতা জানান, তাঁরা বিষয়টি জাতীয়স্তরে নিয়ে যেতে চাইছেন। এদিকে ১৫ নভেম্বর রাজভবনের বাইরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের কথাও ভাবছে সিপিএম। সেখানে প্রতিনিধি পাঠাতে পারে ডিএমকে (DMK)। দিল্লিতেও সিপিএমের প্রতিবাদে শামিল হতে পারে তারা। সিপিএমের দাবি, সংবিধানের ২০০ নম্বর অনুচ্ছেদে রাজ্যপালের উপর যে দায়িত্ব ন্যস্ত রয়েছে, তা তিনি পালন করছেন না। রাজ্যে প্রশাসনিক সংকট তৈরি করতে চাইছেন। তাই আদালতের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া উপায় নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.