সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “আরেকটা ধর্ষণের জন্য অপেক্ষা করবে দেশ?” কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এই ভাষাতে মঙ্গলবার সকালে প্রশাসনকে তোপ দেগেছে সুপ্রম কোর্ট। ঠিক সেই সময় উত্তরপ্রদেশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ধর্ষিতা হলেন রাতের ডিউটিতে থাকা এক দলিত নার্স। তাঁকে নির্যাতনে অভিযুক্ত এক চিকিৎসক। এই অপরাধে তাঁকে সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে এক ওয়ার্ড বয় এবং আরও এক নার্সের বিরুদ্ধে। ঘটনায় তোলপাড় যোগীরাজ্য। নিন্দার ঝড়ের পাশাপাশি কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত চিকিৎসাকর্মীরা।
নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৭ আগস্ট রাতে ধর্ষিতা হয়েছেন মোরাদাবাদের বেসরকারি হাসপাতালের ওই নার্স। ওই দিন রাতে ডিউটি ছিল তাঁর। হঠাৎই এক নার্সকে দিয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক তাঁকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠান। তরুণী যেতে অস্বীকার করলে এক ওয়ার্ড বয় এবং ওই নার্স হাসপাতালের উপরতলার একটি ঘরে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তরুণীর অভিযোগ, ওই ঘরেই চিকিৎসক তাঁকে ধর্ষণ করেন। অপরাধের সময় বাইরে পাহারায় ছিলেন অভিযুক্ত নার্স এবং ওয়ার্ড বয়।
নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে চিকিৎসক, সহকারী নার্স এবং ওয়ার্ড বয়কে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ডের আবেদন জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি অভিযোগ করেন, ধর্ষণের পর হুমকি দেওয়া হয়েছিল মেয়েকে। উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট ভোরে আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চারতলায় সেমিনার কক্ষ থেকে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের দেহ। ময়নাতদন্তে ধর্ষণ ও খুনের প্রমাণ মিলেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে নাগরিক সমাজ। বিক্ষোভ ছড়িয়েছে রাজ্য ছাড়িয়ে দেশ, এমনকী দেশের বাইরেও। আদালতের নজরদারিতে নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.