সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতির বাকযুদ্ধে উত্তপ্ত উপত্যকার রাজনীতি। উলার হ্রদে তুলবুল জলপ্রকল্প নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) নেত্রীর সংঘাত এখন তুঙ্গে। এই প্রকল্প পুনরায় শুরু করার পক্ষে জোর সওয়াল করেছেন ওমর আবদুল্লা। যার বিরোধিতা করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মেহবুবা। পালটা পিডিপি নেত্রীকে তোপ দেগে ওমর বলেন, পাকিস্তানকে খুশি করতে চান মেহবুবা!
জানা গিয়েছে, তুলবুল নেভিগেশন ব্যারেজ প্রকল্প নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘১৯৮০ সালের গোড়াতে উত্তর কাশ্মীরে উলার হ্রদে তুলবুল নেভিগেশন ব্যারেজের নির্মাণ শুরু হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের চাপে সিন্ধু জলচুক্তি কারণে এই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু এখন সিন্ধু জলচুক্তি আপাতত বাতিল করা হয়েছে। এই সময় কি আমরা এই ব্যারেজের কাজ পুনরায় শুরু করতে পারি না! এই প্রকল্পটি ঝিলাম নদীকে নৌযান চলাচলের উপযোগী করবে এবং শীতকালে নিম্নাঞ্চলের বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলির উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।’
ওমর আবদুল্লার এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধীতা করে পালটা মেহবুবা এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এখন দুই দেশ সেখান থেকে পিছিয়ে এসেছে। এমন সময়ে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার তুলবুল প্রকল্প পুনরায় শুরু করার আহ্বান খুবই দুর্ভাগ্যজনক। জম্মু ও কাশ্মীরের নিরীহ মানুষ প্রাণ দিয়ে, ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং কষ্টের মাধ্যমে মূল্য চুকিয়েছে। এই ধরনের মন্তব্য শুধু দায়িত্বজ্ঞানহীন নয়, বরং উস্কানিমূলক। যা বিপজ্জনক। আমাদের উপত্যকার মানুষেরও দেশের অন্যান্য মানুষের মতো শান্তি প্রাপ্য। জলের মতো অপরিহার্য এবং জীবনদায়ী উপাদানকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা অমানবিক। আন্তর্জাতিকভাবে এটা সকলের জন্য ঝুঁকি ডেকে আনবে।’
পিডিপি নেত্রীর এহেন মন্তব্যের পালটা জবাবে ওমর আবদুল্লাহ ফের লেখেন, ‘সস্তা প্রচারের লোভ এবং সীমান্তের ওপারের কিছু লোককে খুশি করার অন্ধ আকাঙ্ক্ষার কারণে আপনি সিন্ধু জল চুক্তি বাতিল মেনে নিতে পারছেন না। এই চুক্তি জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের স্বার্থের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা ছিল। আমি সব সময় এই চুক্তির বিরোধিতা করে এসেছি এবং ভবিষ্যতেও করব। এই অন্যায্য চুক্তির বিরোধিতা করা কোনও ভাবেই যুদ্ধ উস্কানি নয়। বরং এটি জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের নিজেদের জল ব্যবহারের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছিল। এই অবিচার সংশোধনের প্রচেষ্টা করতে চাই আমরা।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.