সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট। প্রথমবার তেরঙ্গা উড়েছিল স্বাধীন ভারতে। স্বাধীনতার একাত্তর বছর কেটে গিয়েছে। আর সাত দশক পেরিয়ে সেই ঐতিহাসিক দিনের পতাকাগুলিও ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে গিয়েছে। বাকি সব পতাকা সংরক্ষণের অভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেও একটি পতাকা আজও অক্ষত। ১৯৪৭ সালের অমূল্য সেই পতাকা আজও সযত্নে রাখা আছে। যা স্বাধীনতা প্রাপ্তির দিন চেন্নাইয়ের ফোর্ট সেন্ট জর্জে উত্তোলিত হয়েছিল।
বর্তমান প্রজন্ম বইয়ের পাতায় স্বাধীনতার ইতিহাস জানতে পারে, ছবিতে বিপ্লবীদের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে। কিন্তু ভারতের স্বাধীনতা দিবসে উত্তোলিত সেই পতাকাকেও চাক্ষুস করার সুযোগ করে দিয়েছে ‘আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া’। রক্ত ঝরা সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে ব্রিটিশদের থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়েছিলেন বিপ্লবীরা। দীর্ঘ ২০০ বছরের যন্ত্রণা ও পরাধীনতার অবসান ঘটেছিল। আর সেই ঐতিহাসিক দিনে ফোর্ট সেন্ট জর্জে ভোর ৫টা ৫ মিনিটে প্রথমবার উড়েছিল স্বাধীন তেরঙ্গা। সাক্ষী ছিলেন হাজার হাজার মানুষ। তবে ১২ ফুট চওড়া ও ৮ ফুট লম্বা সিল্কের তেরঙ্গাটি কে উত্তোলন করেছিলেন তা জানা যায়নি। সে পতাকাই যত্ন সহকারে রেখে দিয়েছিল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। ২০১৩ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রথমবার সেই ঐতিহ্যবাহী পতাকাটি ফোর্ট সেন্ট জর্জের জাদুঘরে রাখা হয় সর্বসাধারণের জন্য।
আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া জানাচ্ছে, এই প্রাচীন পতাকা এতবছর ধরে অক্ষত রাখার কাজ নেহাত সহজ ছিল না। একটি এয়ার টাইট কাঠের বাক্সে রাখা হয়েছে পতাকাটি। যে বাক্সের উপরের ভাগটি কাচের। এর প্রতিটি কোণে রয়েছে মোট ছটি সিলিকলের বাটি। আর্দ্রতা ও স্যাঁতস্যাতে ভাব দূর করার জন্য এই ব্যবস্থা। এর পাশাপাশি বাক্সের চারদিকে রয়েছে এলইডি আলো। দর্শনার্থীরা বাক্সের আশেপাশে এলেই তা জ্বলে ওঠে। যাতে ঐতিহাসিক পতাকা দেখতে কোনও সমস্যা না হয়। ফোর্ট সেন্ট জর্জের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, পতাকাতে যাতে কোনওভাবে বাইরের ধুলো না লাগে, সে ব্যাপারে বিশেষ খেয়াল রাখা হয়। এমনকী সূর্যের আলোও পড়ে না পতাকায়। তেরঙ্গা যাতে বেহাত না হয়, তার জন্য একটি সাইরেনের ব্যবস্থা রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.