সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যৌনতা এবং তার রকমফেরে কে কোন লিঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন, তা নিয়ে পাতার পর পাতা গবেষণা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। এ দ্বন্দ্ব সহজে মেটার নয়।
কিন্তু, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায় অন্তত ভারতের ক্ষেত্রে এই লিঙ্গগত সমস্যার সমাধানে সুস্পষ্ট ভাবেই আলোকপাত করল। সাম্প্রতিক রায়ে স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট- শুধু মাত্র রূপান্তরকামীরাই তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার দাবিদার। সমকামী অর্থাৎ গে, লেসবিয়ানরা তৃতীয় লিঙ্গভুক্ত নন। বাইসেক্সুয়ালদেরও এই নিয়ম মতে তৃতীয় লিঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কোনও কারণ নেই।
সুপ্রিম কোট তার এই রায়ে প্রমাণ করে দিল, এই মর্মে ২০১৪ সালে যে মত দেওয়া হয়েছিল, তার থেকে কোনও ভাবেই পিছ-পা হচ্ছে না দেশ। ২০১৪ সালেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, কেন একমাত্র রূপান্তরকামীরাই তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে পরিচিতির হকদার! সেই রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ভারতের প্রতিটি মানুষের অধিকার রয়েছে নিজের পছন্দ মতো লিঙ্গ নির্বাচনের! সেই দিক থেকে দেখলে রূপান্তরকামীরা নারীও নন, পুরুষও নন। তাই একমাত্র তাঁদেরই বলা হবে তৃতীয় লিঙ্গ।
অন্য দিকে, সমকামীরা তৃতীয় লিঙ্গ নন, কেন না তাঁরা স্পষ্ট ভাবেই অবস্থান করছেন প্রথম এবং দ্বিতীয় লিঙ্গে। সেই হিসেব মতো, গে বা সমকামী পুরুষরা আদতে পুরুষই এবং লেসবিয়ান বা সমকামী নারীরাও শেষ পর্যন্ত নারীই! অন্য দিকে, বাইসেক্সুয়ালরাও উপস্থিতির দিক থেকে স্পষ্টতই নারী বা পুরুষ। তাই তাঁদের তৃতীয় লিঙ্গে অন্তর্ভুক্তির প্রশ্নই ওঠে না।
সেই মতো, সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, যে কোনও সরকারি ফর্মে প্রথম এবং দ্বিতীয় লিঙ্গের পাশাপাশি তৃতীয় লিঙ্গের জন্যও একটি আলাদা ঘর যুক্ত করতে হবে। জন্ম শংসাপত্র, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, চাকরি এবং বিদ্যালয়ে ভর্তির ফর্ম- সবেতেই রাখতে হবে তিনটি লিঙ্গের ঘর। সাম্প্রতিক এই রায় থেকে স্পষ্ট- এই তৃতীয় লিঙ্গ নির্বাচনের অধিকার রইল শুধুমাত্র রূপান্তরকামীদের জন্যই!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.