সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘নো মোর।’ মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালানোর পর ভারত বুঝিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসবাদকে আর সহ্য নয়। কেবলই হামলাই নয়, হামলার পরে অপারেশনের খুঁটিনাটি জানানোর সময়ও প্রেক্ষাপটে আক্ষরিক ভাবেই এই বার্তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এদিন বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি, কর্নেল সোফিয়া কুরেশি, উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং পোডিয়ামে অপারেশন নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন। সেই সময়ই প্রেক্ষাপটে দেখা যায় একটি ভিডিও। সেখানে ২০০১ সালে সংসদ ভবনে হামলা, ২০০২ সালে গুজরাটের অক্ষরধাম মন্দির, ২০০৮-এ মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলা, উরি-পুলওয়ামা এবং সাম্প্রতিক পহেলগাঁও হামলার দৃশ্য ফুটে ওঠে। ভিডিও বার্তায় জানানো হয়, ‘গত দশকগুলিতে ৩৫০ জনেরও বেশি ভারতীয় সেনা সীমান্তে সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছেন। নৃশংস হামলায় আহত হয়েছেন ৮০০ জন। ৬০০ জনেরও বেশি নিরাপত্তা রক্ষী তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আহতের সংখ্যা ১,৪০০ জনেরও বেশি।’ এরপর যুক্ত হয় ‘আর নয়’। সবশেষে দেখা যায় ‘অপারেশন সিঁদুর’।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ মৃত্যুর বদলা নিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। গভীর রাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র। এই হামলায় বাহওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদ, মুরাক্কায় লস্কর-ই-তৈবা ও হিজবুল মুজাহিদিনর সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। গোটা অপারেশনের নজরদারিতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২৫ মিনিট ধরে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। এরপর বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে ৯টি জায়গায় জঙ্গি পরিকাঠামো লক্ষ্য করে ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ করা হয়েছে। যে সব জায়গায় বসে ভারতে সন্ত্রাসবাদী হানার পরিকল্পনা হয়েছিল এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেখানেই ভারত আঘাত হেনেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.