সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের সীমা ছাড়াচ্ছে পাকিস্তান। ভারত যেখানে পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে বেছে বেছে জঙ্গিঘাঁটিগুলিকে নিশানা করেছে, কোনওভাবেই যাতে নিরীহ নাগরিকদের প্রাণহানি না হয় সেদিকে সংবেদনশীলতার সঙ্গে নজর রেখেছে, সেখানে পাকিস্তান নির্লজ্জের মতো বেছে বেছে নিয়ন্ত্রণরেখার ধারে বসবাসকারী নিরীহ নাগরিকদের টার্গেট করে গুলিবর্ষণ শুরু করেছে। মঙ্গলবার রাতে অপারেশন সিঁদুরের পর থেকে এই হামলা বেড়েছে। বুধবার রাতেও বেছে বেছে নিরীহ নাগরিকদের উদ্দেশে গুলি চালিয়েছে পাক সেনা। পালটা দিতে গিয়ে এক ভারতীয় জওয়ান শহিদ হয়েছেন বলে খবর।
এমনিতে পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই বরাবর নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে চলেছে পাক সেনা। তবে মঙ্গলবার থেকে সেটারে তীব্রতা অনেকটা বেড়েছে। অপারেশন সিঁদুরের আগে পাক সেনা মূলত ভারতীয় সেনাঘাঁটিগুলির দিকে হালকা মেশিনগান, ছোট বন্দুক দিয়ে গুলি চালাচ্ছিল। কিন্তু মঙ্গলবারের পর হামলার ধরন পুরো বদলে গিয়েছে। ভারী অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে টার্গেট করা হচ্ছে মূলত সাধারণ নাগরিকদের বসতিপূর্ণ গ্রামগুলির দিকে। বুধবার সকালেই পাক হামলায় ১২ জন কাশ্মীরি নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। আহত হন ৩০ জন। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫।
ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার রাতেও পাক সেনা নিরীহ নাগরিকদের টার্গেট করে ব্যাপক গুলিবর্ষণ করেছে। কুপওয়ারা, আখনুর, পুঞ্চ সেক্টরে বসতিপূর্ণ গ্রামগুলিকে টার্গেট করা হয়েছে। সেনা সেটার যোগ্য জবাবও দিয়েছে বলে খবর। বুধবার রাতের হামলায় নতুন করে কোনও নিরীহ নাগরিকের হতাহতের খবর না মিললেও এক জওয়ান শহিদ হয়েছেন। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, কার্নাহ সেক্টরে পাক সেনার গুলির জবাব দিতে গিয়ে শহিদ হয়েছেন দীনেশ কুমার নামের এক সেনা জওয়ান। যদিও সরকারিভাবে সেনার তরফে ওই মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ মৃত্যুর বদলা নিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। গভীর রাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র। এই হামলায় বাহওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদ, মুরাক্কায় লস্কর-ই-তৈবা ও হিজবুল মুজাহিদিনর সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গোটা অপারেশনের নজরদারিতে ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই হামলার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন বিদেশসচিব ও সেনা। তাতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে ৯টি জায়গায় জঙ্গি পরিকাঠামো লক্ষ্য করে ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ করা হয়েছে। যে সব জায়গায় বসে ভারতে সন্ত্রাসবাদী হানার পরিকল্পনা হয়েছিল এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেখানেই ভারত আঘাত হেনেছে। তারপরই সীমান্তে নির্লজ্জতার সব সীমা অতিক্রম করে নিরীহ নাগরিকদের টার্গেট করছে পাকিস্তান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.