সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে সামনে রেখে ফের এক ছাতার তলায় আসার চেষ্টা শুরু বিরোধীদের। সব ঠিক থাকলে আগামী ১৩ জানুয়ারি সংসদের অ্যানেক্স ভবনে বিরোধী শিবিরের মহাবৈঠক আয়োজিত হবে। উপস্থিত থাকবেন বিরোধী শিবিরের একেবারে শীর্ষস্তরের নেতারা। এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi), এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার এবং ডিএমকে সুপ্রিমো এম কে স্ট্যালিনের ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাম দলগুলিকেও। আরজেডি এবং জেএমএমের তরফেও বৈঠকে প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
নাগরিকত্ব আইন নিয়ে শুরু থেকেই সুর চড়িয়ে এসেছেন মমতা। মূলত তাঁর হাত ধরেই শুরু হয় রাস্তায় নেমে বিরোধিতা। দেশের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি ঘোষণা করেন, পশ্চিমবঙ্গে এনপিআর, এনআরসি বা সিএএ, কোনওটাই কার্যকর হবে না। মমতার সিএএ বিরোধিতা শুধু এরাজ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। বিরোধীদের একজোট করতেও উদ্যোগী হয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের একজোট হওয়ার আহ্বান জানিয়ে চিঠি লিখেছেন তিনি। মমতার সেই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে উদ্যোগী হন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীও। মমতার পথ ধরে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি লেখেন। এনপিআরে আপত্তি জানান বিজয়নও। একে একে সুর চড়ায় অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলি।
লোকসভা নির্বাচনের মাস ছ’য়েক আগে এই ঐক্যের ছবি দেখা গিয়েছিল। বিজেপিকে রুখতে একজোট হওয়ার অঙ্গীকার করেছিল দেশের ১৭টি বিরোধী দল। কিন্তু, সেই অঙ্গীকারই সার। বাস্তবের মাটিতে দানা বাঁধতে পারেন বিজেপি বিরোধী মহাজোট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থীর ফর্মুলাও কার্যকর হয়নি। লোকসভার ফলাফলের পর স্বভাবতই সেই ঐক্য আর চোখে পড়ছে না। সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে বিজেপি। সিএএ ইস্যুকে সামনে রেখে ফের বিরোধীরা একজোট হওয়ার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রেও মধ্যমণির ভূমিকায় দেখা যাবে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.