সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাস জর্জরিত কাশ্মীর উপত্যকায় এবার জঙ্গিনিধনে পূর্ণ শক্তিতে নামল সেনা। বিগত ৫০ দিনে ২২ জন জঙ্গিকে খতম করেছে সেনা। তবে উপত্যকায় এবছর, এখনও পর্যন্ত শহিদ হয়েছেন প্রায় ২৬ জন জওয়ান। এর মধ্যে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে নিহত হয়েছেন ৬ জন ও তুষারধসে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। শহিদ জওয়ানদের মধ্যে একজন মেজরও রয়েছেন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি, কাশ্মীরের কুপওয়ারায় জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ হন তিনি। নিকেশ হয় তিন জঙ্গি। সেদিনই বান্দিপোরা জেলায় সংঘর্ষে নিহত হন তিন জওয়ান। খতম হয় এক জঙ্গি। প্রসঙ্গত, ১২ ফেব্রুয়ারি কুলগাম জেলায় সেনার হাতে নিহত হয় চার জঙ্গি। শহিদ হন দুই জওয়ান।
গতবছর জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের নেতা বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বেড়ে উঠে। পাক মদতপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উস্কানিতে ক্রমশ মারাত্মক রূপ ধারণ করে পরিস্থিতি। ইসলামিক স্টেট ও পাকিস্তানের পতাকা হাতে শুরু হয় ভারত বিরোধী প্রদর্শন। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাদের পেশ করা রিপোর্টে উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর এক তথ্য। গোয়েন্দাদের মতে বুরহানের মৃত্যুর পর প্রায় ১০০ জন কাশ্মীরি যুবক বিভিন্ন জেহাদি সংগঠনে যোগ দেয়।
তবে এবার জঙ্গি দমনে নতুন পন্থা নিয়েছে সেনা। লস্কর, জৈশ ও হিজবুলের নেটওয়ার্ক ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য এবার তাদের ‘স্লিপার সেল’ ও টাকার উৎসগুলিকে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। শুধু তাই নয় ইন্টেলিজেন্স রিপোর্টের ভিত্তিতে জম্মু ও কাশ্মীরে ছড়িয়ে থাকা জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে ধংস করে দেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪০ জন জঙ্গি মদতদাতাকে গ্রেপ্তার করেছে সেনা। কয়েকদিন আগেই সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, সন্ত্রাসবাদীদের যারা মদত দেবে তাদেরও সন্ত্রাসবাদী হিসেবেই দেখবে সেনা। তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর। কাশ্মীর উপত্যকা থেকে জঙ্গিদের সমূলে বিনাশ করতে সেনাকে পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.