সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের প্রভাব পড়তে পারে দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিদেশনীতির উপরও।
অনেকেই মনে করছেন, উরি হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ছাড়া আর কোনও কড়া পদক্ষেপ করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একদিকে নোট বাতিল, অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের মতো বৃহৎ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। সাধারণ মানুষের মনের জল মাপার চেষ্টা করছিলেন। এখন তাঁর দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী বুঝে গিয়েছেন, নোট বাতিলের সুফল যে আদতে গরিব মানুষই পাবে, সেটা আঁচ করতে পেরেছে জনগণ। তাই এখন ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে সোজা ব্যাটে খেলতেও মোদিকে কেউ আটকাতে পারবেন না, মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের। কারণ রাজনৈতিক দিক থেকে মোদির মোকাবিলা করতে পারেন, এমন কোনও চরিত্র এই মুহূর্তে জাতীয় রাজনীতিতে নেই। তিনি এখন গোটা বিশ্বের কাছে আইকন, পরিচিত মুখ, বন্দিত জননেতা।
শুধু পাকিস্তানই নয়, বাংলাদেশের প্রতি নীতিতেও বেশ কিছু রদবদল আনতে পারেন মোদি। আসন্ন এপ্রিলেই দেশে আসতে পারেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জঙ্গিদের সম্পর্কে তথ্য আদানপ্রদান ও গভীর সাংস্কৃতিক সম্পর্কে সম্পর্কে আবদ্ধ হতে পারে দুই দেশ, অনুমান রাজনতিক পর্যবেক্ষক মহলের। কিন্তু আসল প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে সেই পাকিস্তানের বিষয়েই। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, সিন্ধু জলচুক্তি পর্যালোচনার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ করতে পারেন মোদি, মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নির্বাচনী প্রচারেও মোদি একাধিক জনসভায় সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রসঙ্গ তুলেছেন। বিপুল হাততালিও পেয়েছেন। এও মনে করা হচ্ছে, পাক শীর্ষনেতাদের সঙ্গে কথা বলতেও মোদিকে এই জয় বিশেষ সাহায্য করবে। নেপালের মতো রাজনৈতিকভাবে অশান্ত দেশের সঙ্গেও নতুন করে আলোচনা শুরু করতে পারে ভারত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.