সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সততার কোনও মূল্য নেই। উল্টে এখন সততা দেখিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়! একটি ইংরেজি দৈনিকে সম্পাদকীয় কলামে এমনটাই লিখেছেন নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা। সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা তিন কমিশনারের মধ্যে অশোক লাভাসা (Ashok Lavasa) পদমর্যাদায় দ্বিতীয়। গত কয়েক মাস ধরে আয়কর দপ্তর থেকে চিঠির পর চিঠির চাপে কোণঠাসা তিনি। কখনও তাঁর স্ত্রী। কখনও লাভাসা নিজে। কখনও তাঁর ছেলে। আর্থিক গড়াপেটার অভিযোগে বারবার কাঠগড়ায় উঠছে লাভাসা পরিবার। এরই মধ্যে একটি ওই ইংরেজি দৈনিকে বিস্ফোরণ ঘটালেন নির্বাচন কমিশনার।
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে ‘The Indian Express’-এ লাভাসা লিখছেন, সততা দেখালে বেশিরভাগ সময়ই অত্যাচারিত হতে হয়। যদিও, অত্যাচার সত্ত্বেও সত মানুষেরা নিজের কাজ চালিয়ে যায়।সততার মূল্য দিতেই হয়। সেই মূল্য দেওয়ার জন্য তৈরি থাকতে হবে, তা সরাসরি ব্যক্তিবিশেষের ক্ষতি হতে পারে বা আশেপাশের কারও ক্ষতি। এ সব সততারই অঙ্গ।” লাভাসার সঙ্গে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার (Sunil Arora) মতপার্থক্য শুরু হয়েছিল ভোটপর্ব শুরুর একেবারে গোড়া থেকে। এমনকী, তাঁর মত কে গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ করে ইস্তফাও দিতে চেয়েছিলেন লাভাসা। সেসময় অবশ্য যেনতেনপ্রকারণে বিতর্ক ধামাচাপা দেওয়া হয়।
এরপর থেকেই লাভাসা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কমিশনের তৎপরতা শুরু হয়। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনারের ছেলে আবীরকে ডেকে পাঠিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। লাভাসা পরিবারের তিন সদস্যের বিরুদ্ধেই তদন্ত করছে আয়কর বিভাগ। ইডি সূত্রের খবর, আবীরের বিরুদ্ধে বিদেশি মুদ্রা আইনভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। অশোক লাভাসার স্ত্রী নভেল সিঙ্ঘল পেশায় ব্যাঙ্কার। ২০০৫ সালে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। পদে থাকাকালীন বেশ কিছু আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। ‘নৌরিস অরগানিক ফুড প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে একটি সংস্থার ডিরেক্টর আবীর। ওই সংস্থা গত মার্চে সাত কোটি ২৫ লক্ষ টাকা তুলেছিল মরিশাসের এক বিনিয়োগকারী সংস্থা সামা ক্যাপিটলের কাছ থেকে। এই বিপুল অঙ্কের টাকার জোগান নিয়েই তদন্ত শুরু হয়েছে। এই সবের পর সরকারের কাজ সমালোচনা করায় শনিবার ওই ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে অশোক লাভাসা নিজের একাকীত্বের কথাই লিখেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.