সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরাকে নিহত ৩৮ জন ভারতীয়র পরিবারের জন্য ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ধারালো অস্ত্রের একটা কোপে ধড় থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছিল মাথা। আর তারপরই গুলি করে হত্যা। ইরাকে এভাবেই মুণ্ডচ্ছেদ করে ৩৮ জন ভারতীয় পণবন্দিকে হত্যা করেছিল ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিরা। মৃতদের মধ্যে সমর টিকাদার ও খোকন শিকদার নামে দুই বাঙালিও ছিলেন। যাঁদের পরিবার ক্ষতিপূরণ চেয়ে কেন্দ্রের প্রতি ক্ষোভও দেখিয়েছেন ইতিমধ্যেই। তবে মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানিয়ে দেওয়া হল নিহত প্রত্যেক ভারতীয়র পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে মোদি সরকার।
PM announces ex-gratia payment of Rs 10 lakh each to families of those killed in Iraq’s Mosul. pic.twitter.com/SE0fck0H34
— ANI (@ANI) April 3, 2018
ইরাক থেকে সোমবার দুপুরে কফিনবন্দি হয়ে ৩৮ জন ভারতীয়র দেহাংশ ফিরেছে দেশের মাটিতে। বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভিকে সিং ওই দেহাবশেষ নিয়ে সি-১৭ বিমানে দিল্লিতে ফেরেন। ৩৮ জনের ক্ষেত্রেই ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট মিলে গেলেও বিহারের রাজুকুমার যাদবের ক্ষেত্রে ডিএনএ পরীক্ষার ফল সম্পূর্ণ মেলেনি। কাজেই তাঁর দেহ ফেরানো যায়নি। ভীমপুর থানার মহাখোলা গ্রামের সমর টিকাদার ও নদিয়ার তেহট্টের ইলশেমারি গ্রামের বাসিন্দা খোকন শিকদার নামে দুই বাঙালির দেহাংশও তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে সোমবার সন্ধেয়। তার আগে পাঞ্জাবের বাসিন্দা ২৬ জনের দেহ তুলে দেওয়া হয় তাঁদের পরিজনদের হাতে৷ হিমাচল প্রদেশের চারজন এবং বিহারের ছয় জনের দেহ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে তাঁদের বাড়ির নির্দিষ্ট ঠিকানায়।
কফিনবন্দি দেহের উদ্দেশে রবিবারই সামরিক অভিবাদনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান প্রাক্তন সেনাপ্রধান ভিকে সিং। তিনি বলেন, আইএস জঙ্গিরা অত্যন্ত নির্মমভাবে নিরীহ ভারতীয় নাগরিকদের হত্যা করেছে। ২০১৪ সালের জুন মাসে ইরাকে ৪০ জন ভারতীয় নিখোঁজ হওয়ার কথা প্রকাশ্যে আসে। পরে নিখোঁজদের পরিবারের ডিএনএ-র নমুনা চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। ৩৮ জন ভারতীয়ের ক্ষেত্রেই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ডিএনএ মিলে যায়। রাজ্যসভায় বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এই ঘটনাটির বিষয়ে জানান। নিহতরা ইরাকের একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে কাজ করতেন। হরজিৎ মাসিহ নামে এক ভারতীয় দেশে ফিরে এসে জানান, ইরাকে জঙ্গিরা তাঁদের অপহরণ করে আটকে রেখেছিল। মরার ভান করে হরজিৎ পালিয়ে এলেও বাকি ৩৮ জনের কোনও সন্ধান মেলেনি। তাঁরা কেউ বাড়ির লোকজনদের সঙ্গে যোগাযোগও করেননি। সূ্ত্রের খবর, ২০১৪ সালের জুনে বাগদাদ থেকে মসুল যাচ্ছিল ভারতীয় শ্রমিকের একটি দল। তখনই তাঁদের অপহরণ করে আইএস জঙ্গিরা। কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল ও পাসপোর্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.