সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর মুণ্ডপাত করার বিন্দুমাত্র সুযোগ ছাড়তেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার নেহেরুকে ছেড়ে ইন্দিরার আর্থিক নীতির সমালোচনা শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিখ্যাত ‘গরিবি হটাও’ স্লোগানকেও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি বলে উড়িয়ে দিলেন মোদি।
বেশ কিছুদিন ধরেই মোদির বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা এবং দুর্নীতির অভিযোগ এনে চলেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। শনিবার মধ্যপ্রদেশের মান্দসৌরে একটি নির্বাচনী জনসভায় রাহুলের তোলা সেইসব অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে মোদি ইন্দিরা গান্ধীকেও টেনে আনলেন। মিথ্যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বললেন, “৪০ বছর আগে ইন্দিরা গান্ধী গরিবি হটাও স্লোগান দিয়েছিল, আজ পর্যন্ত কি দেশ থেকে গরিবি দূর হয়েছে? তাহলে সেই স্লোগানটা তো মিথ্যা ছিল, কোন মিথ্যেবাদী স্লোগানটি দিয়েছিল মনে আছে তো..” এরপর ইন্দিরার ব্যাংকিং নীতির সমালোচনা শুরু করেন মোদি। তিনি বলেন, “সেসময় ইন্দিরা গান্ধী ব্যাংকিং জাতীয়তাবাদের কথা বলেছিলেন, কিন্তু ২০১৪ সাল পর্যন্তও ভারতের অর্ধেক মানুষও ব্যাংকিং পরিষেবার অধীনে আসতে পারেনি।প্রতারণা ছাড়া আর কী?” এরপরই প্রধানমন্ত্রীর গলায় স্বীকারোক্তি। “পাঁচ ছয় দশক ধরে যে ভুলগুলো কংগ্রেস করেছে তা শোধরাতে কিছুটা সময় লাগে। আমি মাত্র ৪ বছর সময় পেয়েছি। যদি কংগ্রেসের অর্ধেক সময়ও আমি পাই তাহলে গোটা দেশের আমূল পরিবর্তন করে দেব।” বিরোধীরা বলছেন, কংগ্রেসকে দূষলেও পরোক্ষে মোদি স্বীকার করে নিলেন চারবছরে আশানূরূপ কাজ তিনি করতে পারেননি।
প্রধানমন্ত্রীর এই আক্রমণের পর অবশ্য কংগ্রেস শিবির থেকে পালটা এসেছে। স্থানীয় নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের কাজের খতিয়ান না দিয়ে উলটে দেশের অন্যতম সেরা প্রধানমন্ত্রীর দিকে কাঁদা ছোঁড়ার চেষ্টা করছেন। মান্দসৌরের কৃষকদের সমস্যার কথা না বলে ইন্দিরা গান্ধীকে ছোট করার চেষ্টা কোনওভাবেই সফল হবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.