Advertisement
Advertisement
Operation Sindoor

অপারেশন সিঁদুরে ১০০ জঙ্গির মৃত্যু! হামলা হলে ফের প্রত্যাঘাত হবে, সর্বদল বৈঠকে বড় ঘোষণা রাজনাথের

কেন্দ্রের পাশে থাকার বার্তা বিরোধীদের, তবে উঠল একাধিক প্রশ্নও।

PM Modi's first message after Operation Sindoor as Centre briefs parties
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:May 8, 2025 1:48 pm
  • Updated:May 8, 2025 1:48 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজে উপস্থিত ছিলেন না। তবে সর্বদল বৈঠকে দেশবাসী তথা বিরোধীদের বার্তা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বৈঠকে উপস্থিত বিরোধী নেতাদের সামনে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পাঠ করে শোনান। রাজনাথের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী জানান, “কঠিন পরিস্থিতিতে এই সময় দেশের প্রতিটি নাগরিকের একজোট থাকা প্রয়োজন।” একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এমনটাই দাবি। সূত্রের খবর, অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে তথ্য দিতে গিয়ে রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, এই অভিযানে অন্তত ১০০ জন পাক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। পাকিস্তান যদি ফের হামলা চালায়, তাহলে আবারও প্রত্যাঘাত করবে ভারত। 

অপারেশন সিঁদুরের একদিন পরই এ নিয়ে বিরোধীদের কাছে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে সর্বদল বৈঠকের ডাক দেয় সরকারপক্ষ।এদিনের বৈঠকে বিরোধীদের তরফ লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সমাজবাদী পার্টির শীর্ষ নেতা রামগোপাল যাদব, আপের সঞ্জয় সিং, শিব সেনা উদ্ধবের সঞ্জয় রাউত, এনসিপির সুপ্রিয়া সুলেরা। আর কেন্দ্রর তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়া প্রথম সারির প্রায় সব মন্ত্রীই উপস্থিত। বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণও ছিলেন।

Advertisement

সুত্রের খবর বিরোধীদের অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে সব তথ্য দেন রাজনাথ সিং। তিনি জানান, অপারেশন সিঁদুরে একেবারে নিখুঁতভাবে পাক জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে সেগুলি গুঁড়িয়ে দিয়েছে সেনা। তাতে অন্তত ১০০ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। মোদির বার্তাও তিনিই পড়ে শোনান।সূত্রের খবর, উপস্থিত বিরোধী নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারত যুদ্ধ চায় না। কিন্তু এরপর পাকিস্তান কোনওরকম বারাবাড়ি পদক্ষেপ করলে আরও তীব্র প্রত্যাঘাত হবে। সেটার প্রস্তুতিও চূড়ান্ত। বস্তুত সর্বদল বৈঠকে কেন্দ্রের এই ঘোষণাকে আরও বড় পদক্ষেপের পূর্বাভাস হিসাবেই দেখা হচ্ছে। উপস্থিত বিরোধী নেতারাও জানিয়ে দিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে যা যা পদক্ষেপ কেন্দ্র করতে চায়, সব পদক্ষেপের পাশে আছে বিরোধী শিবির। তবে সেসবের পাশে একাধিক প্রশ্নও উঠছে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে প্রশ্ন তোলেন, প্রধানমন্ত্রী কেন এই সর্বদল বৈঠকে থাকলেন না? রাহুল গান্ধী আবার এই ইস্যুতে সংসদ অধিনেশন ডেকে দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার বার্তা দেন। যদিও সেই প্রস্তাব নিয়ে সরকার কিছু বলেনি। তৃণমূলের তরফে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ নিয়েও কেন্দ্রকে সতর্ক থাকার বার্তা দেন।

বৈঠক শেষে সব বিরোধী দলই সমবেতভাবে কেন্দ্রের পাশে থাকার বার্তা দেন। সরকারের তরফে কিরেন রিজিজুও জানিয়েছেন, বিরোধীরা অনেক পরিণতমনস্কতার পরিচয় দিয়েছেন। যা এই মুহূর্তে গোটা দেশকে একজোট করার জন্য প্রয়োজন। কংগ্রেসের খাড়গে জানান, “সরকার কিছু গোপন তথ্য আমাদের দিয়েছে যা প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তবে আমরা সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছি।” তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “আমরা কেন্দ্রের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছি। একই সঙ্গে বাংলাদেশের দিকে নজর দেওয়ার বিষয়টি আমরা তুলে ধরেছি।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement