সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিউনিখে প্রবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানে জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ টেনে বিরোধী কংগ্রেসকে ফের কোণঠাসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রবিবার জার্মানির (Germany) মিউনিখ শহরে জি-৭ (G-7) বৈঠকে যোগ দিতে পৌঁছেছেন মোদি। সেই বৈঠকের আগে এদিন প্রবাসী ভারতীয়দের সামনে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। নিজের বক্তব্যের শুরুতেই বললেন, “ভারতীয়দের ডিএনএতে (DNA) রয়েছে গণতন্ত্র। কিন্তু ৪৭ বছর আগে জরুরি অবস্থা (Emergency) জারি করা ছিল স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে কলঙ্কময় দিন।” মোদি বলেন, “আজকের ভারত হল উন্নয়নের ভারত।” প্রসঙ্গত, এদিনই ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানেও একই ভাবে জরুরি অবস্থা নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছিল মোদিকে।
প্রবাসীদের উপস্থিতিতে হিন্দিতে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। মিউনিখের মঞ্চকে কার্যত রাজনৈতিক মঞ্চ করে তোলেন। বলেন, “জরুরি অবস্থা ভারতের কলঙ্কতম অধ্যায়।” মোদি দাবি করেন, তাঁর আমলের ভারতে উন্নয়নকেই পাখির চোখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্যের পর পয়গম্বর বিতর্কে আন্তর্জাতিক মঞ্চে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল মোদি সরকারকে। এদিন ধর্মনিরপেক্ষ, বৈচিত্রময় ভারতের বার্তা দেন তিনি। খাদ্য, পোশাক, সঙ্গীত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের কথা উল্লেখ করেন। এইসঙ্গে উন্নয়নের খতিয়ান দেন।
প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশের প্রায় সমস্ত গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে গিয়েছে। দেশের ৯০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক কোভিডের (COVID) ভ্যাকসিন পেয়েছেন। ভারতের ভ্যাকসিন গোটা পৃথিবীকে দিশা দেখিয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
এছাড়াও ডিজিটাল টেকনলজিতে দেশের অগ্রগতির প্রসঙ্গেও বলেন নরেন্দ্র মোদি। এইসঙ্গে জানান, গত ২ বছর ধরে ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে সরকার। দেশের গ্রামগুলিতে শৌচালয়ের বন্দোবস্ত হওয়ায় খোলা জায়গায় শৌচকর্ম বন্ধ হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে জি-৭-এ যোগ দিতে গিয়ে পশ্চিমের দেশগুলিকে ভারতের তরফে মোদির বার্তা, গত শতাব্দীতে জার্মানি এবং অন্য দেশগুলি শিল্প বিপ্লব থেকে উপকৃত হয়েছিল। ভারত তখন পরাধীন ছিল। সেই কারণে সুবিধা আদায় করতে পারেনি। কিন্তু এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে পিছিয়ে থাকবে না ভারত। তারাই এখন বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.