নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এবং বিজেপির সংগঠন দুই ক্ষেত্রেই কি একইসঙ্গে রদবদল হতে চলেছে? এমন জল্পনায় সরগরম রাজধানী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল চলতি মাসের ১৫ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে হতে পারে। মকর সংক্রান্তি পার হলেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর দ্বিতীয়বারের শাসনকালের শেষ রদবদল সেরে ফেলতে পারেন। একইসঙ্গে চলতি মাসের ১৬ ও ১৭ তারিখে দিল্লিতে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকেই দলের সাংগঠনিক ক্ষেত্রে রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। মঙ্গলবারই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) নেতৃত্বে এক দফা আলোচনা হয়েছে।
হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা এবং দিল্লি পুরসভা নির্বাচনে বিজেপির ফলে সন্তুষ্ট নন মোদি (Narendra Modi)। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজ্যের তারকা প্রচারকের তালিকায় যে সমস্ত দলীয় নেতা, মন্ত্রী, সাংসদদের রাখা হয়েছিল, তাদের মধ্যে থেকে বেশ কয়েকজনকে সাংগঠনিক স্তরে বড় পদে নিয়ে আসা অথবা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
সভাপতি নাড্ডা নিজের রাজ্য হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) ক্ষমতা ধরে রাখতে না পারায় প্রধানমন্ত্রীর ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিলেন। আবার গুজরাটে (Gujarat) ভাল ফল করার পরে সেখানকার রাজ্য বিজেপি সভাপতি সি আর পাটিলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন মোদি। তারপর থেকেই পাটিল নাড্ডার জায়গায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হতে চলেছেন বলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে, পাটিলকে এখনই সভাপতি করার ক্ষেত্রে আপত্তি রয়েছে সংঘ পরিবারের। সেক্ষেত্রে তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বা দলের কেন্দ্রীয় স্তরে বড় পদ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার নাড্ডার বিকল্প হিসাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবের নাম জল্পনায় উঠে এসেছে।
লোকসভা নির্বাচনে বাকি আর মাত্র ১৪-১৫ মাস। তাই এখন থেকেই সেই নির্বাচনের প্রস্তুতি সেরে নিতে চাইছেন মোদি। একসঙ্গে মন্ত্রিসভা এবং দলীয় সংগঠনের স্তরে রদবদল করার উদ্যোগ সেই প্রস্তুতিরই অংশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.