সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধনকুবের নীরব মোদির কালো টাকা যে আর কোথায় কোথায় লুকিয়ে রাখা আছে, তা খুঁজতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে ইডি কর্তাদের। মুম্বইয়ে মোদির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এবার বাজেয়াপ্ত হল গয়না, ঘড়ি ও পেন্টিং-সহ মোট ২৬ কোটি টাকার সম্পত্তি।
এনফোর্সমেন্ট ডিরক্টরেটের আধিকারিকরা জানান, গত বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের ওরলিতে নীরব মোদির সমুদ্র মহল অ্যাপার্টমেন্ট তল্লাশি চালান সিবিআই কর্তারা। যেখান থেকে মোট ২৬ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি উদ্ধার করেছেন তাঁরা। সিবিআই সূত্রে খবর, গত তিনদিন ধরে ১৫ কোটি টাকার গয়না, ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার দামি ঘড়ি এবং অমৃতা শেরগিল ও এমএফ হুসেনের ১০ কোটি টাকার পেন্টিং বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া জিনিসগুলির মধ্যে একটি ১০ কোটি টাকার আংটিও রয়েছে।
দেশের ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় বড়সড় দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হয়েছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে প্রায় ১১,৫০০ কোটি টাকার প্রতারণামূলক লেনদেনের হদিশ মিলেছে এতদিনে। নীরব মোদির বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছিল ইডি। দায়ের হয় আর্থিক তছরুপের মামলাও। এদিন তদন্তকারী আধিকারিকরা জানান, মুম্বইয়ে ছ’টি বাড়ি ও দশটি অফিস ছিল নীরবের। এছাড়া পুণেতে দুটি ফ্ল্যাট, আলিবাগে একটি ফার্মহাউস, একটি সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং কারজাটে ১৩৫ একর জমি ছিল ধনকুবেরের। আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নীরবের পেন্ট হাউসের দাম ৮১.১৬ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে মোট ২১টি স্থাবর সম্পত্তির হদিশ পায়। মোট ৫২৩.৭২ কোটি টাকার সেই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পেরেছিল ইডি। সেই সঙ্গে ন’টি দামী গাড়ি, অসংখ্য ঘড়ি, সোনা ও হীরের গয়না-সহ বিভিন্ন অস্থাবর সম্পত্তি ইডির হাতে এসেছিল। তবে সেখানেই শেষ হয়নি। এদিন আরও ২৬ কোটি টাকার সম্পত্তির কথা সামনে এল।
এদিকে বিদেশমন্ত্রকের তরফে বাতিল করা হয়েছিল নীরব মোদির পাসপোর্টও। তাঁকে একাধিকবার সমন পাঠানো হলেও এখনও পর্যন্ত দেশে ফেরেননি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.