সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পিএনবি দুর্নীতি কাণ্ডের জের। এবার ‘লেটার অফ আন্ডারটেকিং’(এল ও ইউ) ব্যবস্থা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। মঙ্গলবার এক নির্দেশিকা জারি করে এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে জারি করার কথা ঘোষণা করেছে দেশের শীর্ষ ব্যাংক।
[বিরোধীদের এককাট্টা করতে নৈশভোজ সনিয়ার, ডাক তৃণমূলকেও]
কোনও পণ্য বা পরিষেবা আমদানি বাবদ বৈদেশিক সংস্থার প্রাপ্য অর্থ মেটানোর জন্য এতদিন ‘লেটার অফ আন্ডারটেকিং’ ব্যবস্থার চল ছিল। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে কী হত? এই পদ্ধতির মাধ্যমে কোনও ব্যাঙ্ক তার উপভোক্তাকে অন্য আরেকটি ভারতীয় ব্যাঙ্কের বৈদেশিক শাখা থেকে স্বল্প মেয়াদের ঋণে টাকা তোলার ছাড়পত্র দিত। এই টাকা সংশ্লিষ্ট উপভোক্তা তথা ব্যবসায়ী যে সংস্থা থেকে কোনও পণ্য বা পরিষেবা কিনছে তাদের দাম চোকাতে ব্যবহার করত। কিন্তু এই নিয়মকে কাজে লাগিয়ে বেশকিছু ব্যবসায়ী অসাধু কাজকর্মে জড়িয়ে পড়তে শুরু করেন। কিন্তু, এই ঘোষণার পর আপাতত সেই সব কাজ খুব সহজে বন্ধ করা যাবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
অসাধু ব্যাংককর্মীদের সাহায্যে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকে ভুয়ো নথি জমা দিয়ে ১২ হাজার চারশো কোটি টাকার ‘লেটার অফ আন্ডারটেকিং’ আদায় করেছিল নীরব মোদি এবং মেহুল চোকসির সংস্থা। ঋণ দেওয়ার জন্য ব্যাংক গ্যারান্টি হিসেবে যে সব এলওইউ ইস্যু করেছিল বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, সেগুলির তথ্য চেয়ে তাদের কাছে আগেই চিঠিও পাঠায় আরবিআই। ব্যাঙ্কিং মহলের অভিযোগ, কিছু অসৎ কর্মীর সঙ্গে যোগসাজশেই ওই সব ব্যাংক গ্যারান্টি বার করে পরে সেগুলি দেখিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ আদায় করেন নীরব মোদি-মেহুল চোকসির মতো ব্যবসায়ীরা।
[পিএনবিতে কেলেঙ্কারি হয়েছে ২৯,০০০ কোটি টাকার! সিইওকে তলব করল SFIO]
এই বিপুল পরিমাণ অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারির জেরেই সমালোচনার মুখে পড়ে আরবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা হন্যে হয়ে খুঁজলেও নীরব মোদি ও মেহুল চোকসির খোঁজ পাননি। ফলে, কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়েও বারবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তাদের ঘটনা সামনে আসার পর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলির বিশেষ অডিট শুরু করে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক। পাশাপাশি ঋণ দেওয়ার জন্য ইস্যু করা এলওইউ সংক্রান্ত বিশদ তথ্য জমা দিতে সব ব্যাঙ্কের উপর চাপ বাড়ায় আরবিআই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.