প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের বদলাপুরের স্কুলে দুই শিশুকে যৌন হেনস্তার ঘটনায় আগেই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল। এফআইআর দায়ের করতে দেরি হওয়ার কারণে এবার তিন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করল প্রশাসন। অন্যদিকে, যৌন নিগ্রহের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে পকসোর আওতায় এফআইআর দায়ের হয়েছে অন্য এক স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও। এহেন পরিস্থিতিতে অভিযুক্তের মায়ের দাবি, ছেলে দোষী প্রমাণিত হলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক।
গত ১৬ আগস্ট ঠানের বদলাপুরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শৌচালয়ে দুই খুদে পড়ুয়ার উপর যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত স্কুলেরই ২৩ বছরের সাফাইকর্মী। এই ঘটনায় থানায় শিশুর পরিবার অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ ওঠে। যৌন নির্যাতনের ঘটনা স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছে বম্বে হাই কোর্ট। অভিযোগ দায়ের করতে কেন দেরি করল পুলিশ, সেই নিয়ে তোপ দাগে বম্বে হাই কোর্টের বেঞ্চ। কেন স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হল না, সেই প্রশ্নও তুলেছে উচ্চ আদালত।
তার পরের দিনই বদলাপুরের তিন পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করল প্রশাসন। জানা গিয়েছে, সিনিয়র পুলিশ ইন্সপেক্টর শুভদা শিতোলে-সহ আরও দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে। তাঁদের বদলি করে দেওয়া হয়েছে মুম্বইয়ে। অভিযোগ, ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলার পরেও এফআইআর দায়ের করেননি এই আধিকারিকরা। অন্যদিকে আদালতে তিরস্কারের পর পকসোর আওতায় এফআইআর দায়ের হয়েছে অন্য একটি স্কুলের প্রিন্সিপাল এবং সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে। ২০২২ সালে পালঘরের ওই স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছিল।
এহেন পরিস্থিতিতে বদলাপুরের ঘটনায় অভিযুক্তের মা দাবি করেছেন, ছেলে যদি দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত। জানা গিয়েছে, গত দু বছরে তিনবার বিয়ে করেছিল অভিযুক্ত। আপাতত তার তৃতীয় স্ত্রী পাঁচ বছরের অন্তঃসত্ত্বা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.