সোমনাথ রায়: পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বাস পাঠানো নিয়ে সরগরম উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি। বিজেপির দাবি, শ্রমিকদের সাহায্য করাটা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর (Priyanka Gandhi) উদ্দেশ্য নয়। তিনি শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতির খেলায় মেতেছেন। পালটা প্রিয়াঙ্কা শিবিরের দাবি, রাজনৈতিক কারণেই তাঁরা শ্রমিকদের সাহায্য করতে চাইলে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
বিজেপির অভিযোগ কংগ্রেস যে তথাকথিত ১ হাজার বাস দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে, সেই তালিকায় শুধু বাস নেই। যে গাড়ির কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা গিয়েছে এর মধ্যে ছোট গাড়ি, অ্যাম্বুল্যান্স, এমনকী ট্রাক্টর এবং টু-হুইলারও আছে। রাজ্যের মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিং বলছেন,”আমরা প্রাথমিক তদন্ত করে দেখেছি। যে বাসের তালিকা দেওয়া হয়েছে তার সব বাস নয়। এর মধ্যে বহু টু-হুইলার, অটো, ট্রাক্টর, ছোট গাড়ি এবং অ্যাম্বুল্যান্স আছে। এবার সোনিয়া গান্ধীকে উত্তর দিতে হবে, কেন তাঁরা এমন প্রতারণা করছেন।” আরেক বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্রর (Sambit Patra) আবার দাবি, এই গাড়িগুলি যে শুধু বাস নয় তাই নয়। এর মধ্যে অনেক গাড়ি আবার আনফিট।
উল্লেখ্য, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য এক হাজার বাস পাঠাতে চাইলে প্রথমে রাজি হয়ে যায় উত্তরপ্রদেশ সরকার। জানিয়ে দেওয়া হয় প্রিয়াঙ্কা যে বাসগুলি পাঠাতে চাইছেন তা রাজ্যে ঢুকতে পারে। কিন্তু মঙ্গলবার গভীর রাতে হঠাৎ নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। রাজ্যের মুখ্য সচিবের তরফে কংগ্রেস নেত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়ে দেওয়া হয়, বাসগুলি সরাসরি রাজ্যে ঢুকতে পারবে না। ৫০০ করে বাস নিয়ে যেতে হবে, দিল্লির সীমানাবর্তী গাজিয়াবাদ ও নয়ডাতে। রাত ২টো নাগাদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে পাঠানো চিঠিতে আরও বলা হয়, বাস এবং চালকদের কাগজপত্র-সহ বাস সরকারকে হস্তান্তর করতে হবে। তাও সকাল ১০ টার মধ্যে। যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে কংগ্রেস। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ব্যক্তিগত সচিব সন্দীপ সিং বলেন, তাঁদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রান হরা হচ্ছে। এরপর পালটা চিঠিতে তিনি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিবকে বলেন,”আজ বিকেল পাঁচটার মধ্যে বাসগুলি গাজিয়াবাদ এবং নয়ডা পৌঁছে যাবে। আপনারা পরিযায়ী শ্রমিকদের তালিকা তৈরি রাখুন। যাতে দ্রুত কাজ করা যায়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.