সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখের ভিতর আনারস, তার মধ্যে থাকা বাজি বিস্ফোরণে কেরলে গর্ভবতী হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে তোলপাড় দেশ। পরিবেশ মহল থেকে শুরু করে সেলিব্রিটি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও ঘটনায় নিন্দায় মুখর। এসবের মাঝেই সামনে এল নয়া তথ্য। প্রাথমিক তদন্তে বনকর্তাদের অনুমান, আনারসের মধ্যে বাজি ঢুকিয়ে হাতিটিকে খাওয়ানো হয়নি। বুনো শুয়োর মারতে রেখে দেওয়া বাজি ভরতি আনারস হাতিটি নিজেই গিলে ফেলেছিল, যার জেরে এমন মর্মান্তিক পরিণতি।
তবে এই অনুমান ঘিরেও তৈরি হয়েছে হাজার প্রশ্ন। কেরলের মান্নারকড় বনবিভাগের এক আধিকারিক কেকে সুনীল কুমারের কথায়, ”ঠিক কোন জায়গায় হাতিটি ওই বাজি ভরতি আনারস খেয়ে ফেলেছিল, তা চিহ্নিত করতে হবে।” পশ্চিমঘাট রেঞ্জের বনাধিকারিকরা জানিয়েছেন, ২৩ তারিখ পোট্টিয়ারা সীমানার কাছে জঙ্গলে একটি গর্ভবতী হাতি এসে পৌঁছেছে, এই খবর পান তাঁরা। কাছে গিয়ে দেখা যায়, তার মুখ রক্তাক্ত। তখনও কারণ ঠিকমতো বোঝা যায়নি। তার দিন দুই পরে হাতিটিকে নদীর জলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। মুখের ভিতর বিস্ফোরণ ঘটায় তার শরীরের ভিতরের অংশ জ্বলে গিয়েছিল। সেই জ্বালা জুড়োতেই সে নদীর জলে নেমে দাঁড়িয়েছিল। এরপর জুনের ২ তারিখ তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
তদন্তে নেমে সঙ্গে সঙ্গেই বন্যপ্রাণ আইনে মামলা রুজু হয়। শুরু হয় আততায়ীদের খোঁজ। সেই তদন্তে এগোতে গিয়েই বনকর্তাদের প্রাথমিক অনুমান, অন্য কোনও জায়গা থেকে হাতিটি ওই বাজি ভরতি আনারস খেয়ে মান্নারকড় জঙ্গলে এসেছিল। এমনিতে ওই এলাকায় বুনো শুয়োরের উপদ্রব বেশি। তাদের মরণফাঁদ হিসেবে ফলের মধ্যে বাজি ভরে রাখা হয়। না বুঝে সেই আনারসই হাতিটি খেয়ে ফেলেছিল হয়ত। পূর্ণবয়স্ক হাতি দিনে প্রায় ১০০ কিলোমিটার হাঁটতে পারে। তবে গর্ভবতী হাতি এতটা দূর থেকেই সেখানে পৌঁছেছিল কি না, তা নিয়ে বেশ সংশয় রয়েছে বনকর্তাদের। তা নিরসনের জন্য আরও খোঁজখবর চলছে। তবে ঘটনায় যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে নানা মহলে, তা সহজে স্তিমিত হওয়ার নয় বলেই মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.