সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলওয়ামা কাণ্ডের তদন্তে বড় সাফল্য এনআইএ’র। গ্রেপ্তার হামলায় জড়িত শীর্ষ জইশ গুপ্তচর শাকির বাশির মাগরে। সেনা কনভয়ে হামলাকারী জঙ্গি আদিল আহমেদ দারকে আশ্রয় এবং হামলার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দিয়েছিল শাকির। হামলাকারী আদিলকে গাড়িও সেই জোগাড় করে দিয়েছিল বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।
ধৃত শাকির বাশির মাগরে পুলওয়ামার কাকাপোরার বাসিন্দা। তার একটি আসবাবের দোকান আছে। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি মহম্মদ উমর ফারুক নামে এক পাক জঙ্গির সঙ্গে তার আলাপ হয়েছিল। ওই জঙ্গির সংস্পর্শে এসে জইশে (Jaish-e-Mohammed) নাম লেখায় শাকির। তারপরই উপত্যকায় গোপনে জঙ্গিদের সর্বক্ষণের এজেন্ট হয়ে ওঠে বলে তদন্তকারীদের দাবি। ২০১৮-র মাঝামাঝি এই উমর ফারুকই হামলাকারী জঙ্গি আদিলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় শাকিরের। পুলওয়ামা ছাড়াও একাধিক জঙ্গি হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে শাকিরের বিরুদ্ধে। জিজ্ঞাসাবাদে শাকির স্বীকার করেছে, একাধিক জঙ্গি হামলার জন্য জঙ্গিদের অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করেছে সে।
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের আত্মঘাতী হামলায় সিআরপিএফের ৪০ জওয়ান শহিদ হন। সেই ঘটনার তদন্তে এখনও পর্যন্ত এটিই এনআইয়ের (NIA) সবচেয়ে বড় সাফল্য। বেসরকারি সূত্রের খবর, এর আগে পুলওয়ামা হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এদের মধ্যে অন্যতম একজন ইউসুফ চোপান। এই সপ্তাহেই জামিন পেয়ে গিয়েছে সে। তার বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চার্জশিট জমা দিতে পারেনি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। যা নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েনও কম হয়নি।
যদিও, এনআইএ’র দাবি যে ইউসুফের কথা এখানে বলা হচ্ছে, তাকে আদৌ ১৪ ফেব্রুয়ারির পুলওয়ামা হামলায় গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাকে গ্রেপ্তার করা হয় অন্য একটি মামলায়। এবং সেই মামলায় ইউসুফের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করা যায়নি। ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলায় শুক্রবারই প্রথম কাউকে গ্রেপ্তার করা হল বলে জানিয়েছে, জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.