ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাস জর্জরিত কাশ্মীরে ফের ফুটে উঠল মানবিক ছবি। সন্ত্রাসবাদীদের হাতে খুন কশ্মীরি পণ্ডিত সঞ্জয় শর্মার শেষকৃত্যে এগিয়া এলেন মুসলমান পড়শিরাই। নিহতের কফিন কাঁধে করে বয়ে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে চিতার কাঠ সংগ্রহ করতে সাহায্য করেন তাঁরা।
গত রবিবার পুলওয়ামা জেলার আচান গ্রামে সঞ্জয় শর্মা নামের ব্যাংকের এক নিরাপত্তারক্ষীকে গুলি করে জঙ্গিরা। ওই কাশ্মীরি পণ্ডিতকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। জানা যায়, সেদিন বাজার যাচ্ছিলেন সঞ্জয়। সেই সময়ই তাঁর উপরে হামলা চালায় জেহাদিরা। এলাকায় হিন্দু পণ্ডিতদের উপরে হামলার মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করেছিল প্রশাসন। এরপরও কী করে এমন হামলা হল খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গ্রামে একমাত্র কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবারের সদস্য ছিলেন সঞ্জয়। তাঁর পড়শি মুদাসির আহমেদ স্থানীয় সংবাদমাধ্যামে বলেন,”ও (সঞ্জয়) আমাদেরই একজন ছিল। ওকে কাশ্মীরি পণ্ডিত হিসেবে আলাদা করে আমরা দেখিনি। কয়েকশো বছর ধরে এখানে সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করছে।আমরা মিলেমিশে সব কাজ করি। তাই এই খবর যখন পেলাম তখন বড় ধক্কা লেগেছিল। সঙ্গে সঙ্গে আমরা সবাই সঞ্জয়ের পরিবারের কাছে ছুটে যাই। শেষকৃত্যের জন্য যে সমস্ত সামগ্রী লেগেছে সেসব আমরাই জোগাড় করেছি।”
উল্লেখ্য, চার মাসের মধ্যে হিন্দু পণ্ডিতের উপরে এটাই প্রথম হামলা। গত বছর একের পর এক হিন্দু পণ্ডিতরা ‘টার্গেট কিলিংয়ের’ শিকার হচ্ছিলেন। তিনজন কাশ্মীরি পণ্ডিত-সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১৪ জন প্রাণ হারান। কাশ্মীরের নানা জায়গায় এই হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের। উল্লেখ্য, কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা খর্ব হওয়ার পর গত কয়েক বছর ধরেই কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ‘টার্গেট কিলিং’ বাড়ছে। যে কোনও দিন খুন করতে পারে জেহাদিরা। লাগাতার দেওয়া হচ্ছে হুমকি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.